ডেস্ক রিপোর্ট : [২] বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মাহে রমজান উপলক্ষ্যে শুক্রবার পবিত্র তারাবির নামাজের জামাতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে দেশের অধিকাংশ মসজিদে। অন্য বছরগুলোতে যেখানে মাসব্যাপী তারাবির জামাত মসজিদ ছাড়িয়ে রাস্তা বা সামনের খোলা অংশে বিস্তৃত হতো, সেখানে এবার সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মুসল্লির উপস্থিতি থাকছে মাত্র ১২ জন করে। তাও আবার বাইরের কোনো সাধারণ মুসল্লি এতে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না, সংশ্লিষ্ট খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ও হাফেজদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির কারণে সুরা তারাবি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কালেরকণ্ঠ

[৩] করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার তারাবাহির নামাজ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিশেষ নির্দেশনা জারি করে ধর্মমন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, পবিত্র মাহে রমজানে এশার জামায়াতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম এবং ২ জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এশার জামায়াত শেষে এ ১২ জনই মসজিদে তারাবির নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য মুসল্লীগণ নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবি নামাজ আদায় করবেন। সকলেই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

[৪] সরকারি এ নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার চাঁদ দেখার খবর জানার পর এশার নামাজের আজানের আগেই রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, আপনারা মসজিদে না এসে বাসায় তারাবি আদায় করুন। পরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ প্রায় সব মসজিদে সরকারি নির্দেশনা মেনে ১২ জন মুসল্লি নিয়েই প্রথম তারাবির জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

[৫] তবে দেশের বিভিন্ন মফস্বল এলাকার কিছু মসজিদে এ নির্দেশনার তেমন প্রভাব পড়েনি বলে খবর পাওয়া গেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করেই অধিক সংখ্যক মুসল্লি তারাবির জামাতে অংশ নেয় এসব মসজিদে। এক্ষেত্রে মসজিদ কর্তৃপক্ষ অনেকটা বির্বতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।

[৬] রাজধানীর চকবাজার খাজে দেওয়ান মসজিদ, বখশিবাজারের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড মসজিদসহ দেশের অধিকাংশ মসজিদে এবার খতমে তারাবি হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এসব মসজিদে স্বল্প সংখ্যক মুসল্লির কারণে এবার সুরা তারাবিহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রমজানে তারাবির নামাজের ব্যাপারে সরকারি নতুন নির্দেশনার পাশাপাশি ওয়াক্তিয়া নামাজ ও জুমার ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনাই বলবৎ থাকছে।