মাজহারুল ইসলাম : [২] মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রকৌশলীরা বৃহস্পতিবার এটি তৈরীর ঘোষণা করেন। নতুন এই ভেন্টিলেটর তৈরি করতে তাদের ৩৭ দিন সময় লেগেছে। জীবন রক্ষাকারী এই মেশিনগুলো রোগীর ফুসফুসে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাম্প করে জীবন রক্ষা করতে পারবে। যা করোনা রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালেরকণ্ঠ, কোর্টহাউস নিউজ
[৩] দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা 'ভিটাল' নামে পরিচিত একটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ভেন্টিলেটর ডিজাইন করেছেন। করোনা রোগীদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে এটি ডিজাইন করা হয়েছে।
[৪] ল্যাবের ডিরেক্টর মাইকেল ওয়াটকিনস বলেছেন, এই ধরনের ডিভাইস তৈরি করা নাসা সাধারণত বিশেষায়িত কোন সংস্থা নয়, তবে এই মুহুর্তের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে নাসার মাধ্যাকর্ষণ প্রকৌশলীরা এমন প্রকল্পে হাত দিয়েছেন।
[৫] ওয়াটকিনস এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, আমরা মহাকাশযানে বিশেষজ্ঞ। মেডিক্যাল ডিভাইস উৎপাদনে নয়। তবে আমাদের প্রকৌশলীরা চমৎকার ইঞ্জিনিয়ারিং, কঠোর পরিশ্রম এবং দ্রুত প্রোটোটাইপিং করায় অভিজ্ঞ। জেপিএল-এর লোকেরা যখন বুঝতে পেরেছিল যে চিকিৎসা সম্প্রদায়কে এই সময়ে সহায়তা করা দরকার। তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা দরকার। তখন নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তাদে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা আমাদের দায়িত্ব।
[৬] নাসা জানিয়েছে যে, ডিভাইসটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক সরকারীভাবে অনুমদনের জন্য অপেক্ষায়। সবুজ সংকেত পেলেই প্রকৌশলীরা জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করবেন। জাতীয় সঙ্কটের এমন সময়ে দ্রুততম সময়ে আশাবাদী সংস্থাটি।
[৭] নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির একটি সূত্র বলেছে যে, তারা এরই মধ্যে মেডিকেল সরঞ্জাম তৈরির কম্পানিগুলোর সঙ্গে ভেন্টিলেটরটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়ে কথা বলেছেন। দ্রুততম সময়ে উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা। সম্ভাব্য নির্মাতাদের বিনামূল্যে এই ভেন্টিলেটরটি তৈরির জন্য বিশেষ লাইসেন্স দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :