শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মৃত বৃদ্ধের দাফনে এলাকাবাসীর বাধা’ : পৃথিবীর কোথাও পাবেন এমন অমানবিক পাবলিক?

কামরুল হাসান মামুন : ‘মৃত বৃদ্ধের দাফনে এলাকাবাসীর বাধা’ Ñসূত্র প্রথম আলো। পৃথিবীর কোথাও পাবেন এমন অমানবিক পাবলিক? আরও আছে। নিচের গল্পটা পড়ুন। বুঝবেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক দম্পতির করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। স্বল্পমাত্রার উপসর্গ থাকায় সরকারি কর্তৃপক্ষ বাসায় থাকতে বলে। অন্যদিকে বাড়িওয়ালা আর প্রতিবেশীদের চাপে বাবাকে হাসপাতালে নিতে বাধ্য হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স পায়নি। পরে বাধ্য হয়ে একটি সিএনজি দিয়ে যায়। পথে সিএনজি ড্রাইভার যখন জানলো প্যাসেঞ্জার করোনা রোগী পথেই নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আর স্বামী-স্ত্রী করোনা পজিটিভি জেনে বাড়িওয়ালা ভয়ে তাদের দুই ছেলেকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
তারপর রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে পরীক্ষা করাতে গিয়ে টিকিট কেটে ফরম পূরণ করার পর তারা বলেন দেরি হয়ে গেছে, আপনারা কালকে আসেন। পরের দিন ১১ এপ্রিল রোগীসহ তিনজন আবার হাসপাতালে যায় এবং সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে তারা আইসোলেশন রুমে বসে থাকেন। তখন সেখানে পাঁচজন ছিলেন। দুপুর যতো গড়াতে থাকে রোগী ও লোক বাড়ছিলো। ওই রুমটার বর্ণনা দেওয়া দরকার। রুমটাতে দুইটা বেড। আর তিনটা করে জোড়া লাগানো নয়জনের বসার জায়গা। তিনটার দিকে তিনজনের একটা টিম আসে। তারা ৬-৭ জনের নমুনা নিয়ে চলে যায়। কোনো সিরিয়াল মানা হলো না। জিজ্ঞেস করলে বলে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে আসবে। কিন্তু আসতে আসতে সন্ধ্যা সাতটা বাজে। ওইখান থেকে কাউকে বেরও হতে দিচ্ছিলো না। আমরা তিনজনই ওইখানে ছিলাম। খাবারদাবার কিছুই ছিলো না। দুপুরের দিকে লাঞ্চ দিয়েছিলো। ভাত-তরকারি, কিন্তু তা খাবার মতো ছিলো না। সারাদিন পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে এসে আরও তিন-চারজনের স্যাম্পল নিলো, কিন্তু আমাদের বসিয়ে রাখলো। পরে একজন বলেন, যে ‘আপনাদের কাগজ হয়তো হারিয়ে গেছে, আপনি আবার সাত নম্বর রুম থেকে এনে কাগজ জমা দেন’। তারা বলছিলেন, ১২ এপ্রিল দুপুরের দিকে রিপোর্ট দেবে। আমি দশটার দিকে যাই। রুমের সামনে অনেক মানুষ ছিলেন একজন আরেকজনের সঙ্গে ঘেঁষে দাড়ানো ছিলো দেখে আমি ভয়ে আর এগোইনি। পরে ফাঁকা হওয়ার পর গিয়ে শুনি রিপোর্ট আসেনি। ১২ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটায় রোগীর আত্মীয়কে ফোন দিয়ে জানানো হয় তার মায়ের পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক অনেক বেশি রোগী। মারাও যাচ্ছে অনেক। কিন্তু এ রকম অমানবিক দুঃসহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয় না। এই হলো আমাদের ম্যানেজমেন্ট। এতো বিবিএ, এতো ম্যানেজমেন্ট, এতো এমবিএ ইত্যাদি কতো পড়াশোনা। কোনো লাভ আছে? অসভ্যতার চরমে আমরা। পুরো রিপোর্টটি কমেন্ট থ্রেডের প্রথম কমেন্টে সংযুক্ত আছে। ক্লিক করে পড়ুন আর জানুন কেমন অসভ্য দেশে জন্ম আমাদের। এসব উন্নয়ন ফুন্নয়ন দিয়ে এখন পানি খান। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়