শিরোনাম
◈ তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি 

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব মহামারিও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রসঙ্গে

মাসুদ রানা : কে যেন সেদিন আমার একটি পোস্টের কমেন্টে জিজ্ঞেস করলেন আমি কী এখনো আমার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্নতার তত্ত্ব প্রযোজ্য কিনা। উত্তরে আমি বলেছিলাম, অবশ্যই প্রযোজ্য। এর সঙ্গে উল্লেখ করেছিলাম পারস্য উপসাগরে চলমান মার্কিন-ইরান ঠেলাঠেলির কথা। সাধারণভাবে আমার তত্ত্ব হচ্ছে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের বিপরীত। কারণ তিনি যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বৈশ্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বর্তমান বিশ্ব মহামারি উত্তরকালে একটি বৈশ্বিক সহযোগিতার শুভ আকাক্সক্ষার কথা সম্প্রতি ফাইনান্সিয়াল টাইমসে লিখেছেন, তার সেই ঐতিহাসিক সমীকরণে মিসিং আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদনÑ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ভয়, যার উপর আমি অন্যত্র আলোকপাত করবো। আমার ধারণায় তথা তত্ত্বে অমর্ত্য সেনীয় শুভেচ্ছাকে মোটেও আমলে নিইনি, তা নয়। করোনাভাইরাসের বিশ্ব মহামারির পরিণতিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক বিন্যাস ও ব্যবস্থা যে টালমাটাল অবস্থায় পড়বে, তাকে পুনর্বিন্যস্ত করার দুটি উপায় থাকবে : ১. বৈশ্বিক সমঝোতা-সহযোগিতা অথবা ২. তীব্র প্রতিযোগিতার পথে বিশ্বযুদ্ধ। বৈশ্বিক সমঝতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইংরেজি ভাষী জাতিসমূহ উপরহস্ত নিতে চাইবে। কিন্তু চাইলেই তা পাওয়া নাও যেতে পারে এবং না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নতুন বাস্তবতার নিরীখে প্রত্যাশিত সুবিধা অন্যরা তাদের না দিলে, তারা চেষ্টা করবে একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাদের ঝুঁকিতে পড়া বৈশ্বিক কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে।
যুদ্ধ যেহেতু অস্ত্র করে না, করে মানুষ তথা মানুষের মন, সে মন যুদ্ধংদেহী হয়ে উঠলে যেকোনো হিসেবে শেষ পর্যন্ত নিজকেই বিজয়ী হিসেবে অঙ্ক কষে। যুদ্ধংদেহী সব পক্ষেরই নিজস্ব অঙ্ক থাকে এবং সে অঙ্ক সবার খাতাতেই স্বপক্ষে ফল নির্দেশ করে। বালাই বাহুল্য যে, যুদ্ধে সব পক্ষই জয়ী হয় না, হতে পারে না, যদিও সব পক্ষেরই ধ্বংস হতে পারে। বেশ কয়েক বছর আগে যেমনটি বলেছিলাম, আজও বলছি। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত পশ্চিমা পরাশক্তি ও তাদের প্রতীচ্যের মিত্রদের নিয়ে আঘাতটি হানবে মূলত চীনের উপরই। বর্তমানে চীনের যে দানবীকরণ চলছে, তা মূলত চীনকে বিশ্ব নেতৃত্বের অযোগ্য হিসেবে দেখানোর সম্ভাব্য একটি প্রকল্পের অংশ। আর ঐতিহাসিক কারণে চীনের পক্ষে বিশ্বনেতা হওয়া সত্যিই কঠিন। একটি জাতির সাম্রাজ্যিক ঐতিহ্য থাকলে বিশ্ব তাকে নেতা মানে না। চীনের সাম্রাজ্যিক ইতিহাস অতি প্রাচীন, যা বিশ্বের স্মৃতিতে প্রায় বিস্মৃত। তবে চীন যদি তার অতি উচ্চাশা সংবরণ করে রাশিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকার আঞ্চলিক শক্তিসমূহের সঙ্গে একটি যৌথ নেতৃত্বের সমঝোতায় আসতে পারে, চীনের জন্য তা লাভজনক হবে। ২৪/০৪/২০২০, ল-ন, ইংল্যা-

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়