আহমেদ শরীফ শুভ : অনুজপ্রতিম তৌহিদ নয়নের একটা পোস্টে চোখ আটকে গেলো। ঢাকায় (আমি নিশ্চিত অন্যান্য শহরেও) অনেক তরুণই টিউশনি করে কিংবা কোচিং করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনাকালে যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে টিউশনি ও কোচিং বন্ধ, তাদের অনেকেরই আয় বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন নিদারুণ অর্থ সংকটের মুখোমুখি। হয়তো তাদের কারও কারও উপর একেকটি পরিবার নির্ভরশীল। পোস্টটি পড়েই কতোগুলো অসহায় নিরন্ন মানুষের মুখচ্ছবি মনে ভেসে উঠলো। তাদের অনেকের জন্যই হাত পাতা কঠিন, হয়তো কখনো পাতেননি। কিন্তু কী করবেন? তাদের আমি প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেবো। দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই অনলাইন পাঠদান শুরু হয়েছে জুমÑ ইত্যাদি অ্যাপসের মাধ্যমে)। এই প্রযুক্তিটি অত্যন্ত সহজ (আমার মতো প্রযুক্তিপ্রতিবন্ধীও ব্যবহার করতে পারি), বিনামূল্যে ফোনে বা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে নিলেই হয়। তা দিয়ে অনলাইন মিটিং করা যায়, ক্লাস নেওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে আপনারা আপনাদের কোচিং ও টিউশনি অব্যাহত রাখতে পারেন। ছাত্রছাত্রীরা ই-মেইলে আপনাদের কাছে বাড়ির কাজ কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট কারেক্ট করে দেওয়ার জন্য পাঠাবে, আপনারা আবার তার ফিডব্যাক দেবেন ই-মেইলে। লেকচারের বা সামনাসামনি পাঠদানের বিষয়টি সারবেন জুমে।
জানি সব অভিভাবক তাতে সম্মত হবেন না। তবে আপনি যদি আগে দিনে ৫টি টিউশনি করতেন, অন্তত দুজন তো রাজি হতে পারেন। চেষ্টা করে দেখুন না। প্রয়োজনে প্রথম এক সপ্তাহ বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান করে পদ্ধতিটির বিষয়ে তাদের আস্থা অর্জন করুন। জুম বা সমতুল্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান করা যায় (যা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে, অর্থাৎ শিক্ষকদের বেতনের বিনিময়ে) তাহলে অপ্রাতিষ্ঠানিক টিউশনি কেন প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যাবে না? ঊীঃৎধড়ৎফরহধৎু ংরঃঁধঃরড়হ পধষষং ভড়ৎ বীঃৎধড়ৎফরহধৎু সবধংঁৎবং! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :