বগুড়া প্রতিনিধি: [২] প্রথম করোনা শনাক্ত রোগী দীর্ঘ ২৬ দিন পর মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন কেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে রংপুর নিজ বাড়ীতে ফিরলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর শাহ আলম ও তার স্ত্রী এবং চিকিৎসকদের মুখে যেন আনন্দের ঝিলিক। এসময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ শাহ আলমকে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
[৩] গত (২৯ মার্চ) ঢাকা থেকে ট্রাকে উঠে রংপুরে যাওয়ার পথে শ্বাসকষ্টের কারণে ট্রাক থেকে শাহ আলমকে বগুড়া মহাস্থান বন্দরে ফেলে রেখে যায় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারী। পরে স্থনীয় জনসাধারণ ও পুলিশের সহায়তায় প্রথমে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা করোনার উপসর্গ দেখলে তাকে ৩০ মার্চ মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন কেন্দ্রে প্রেরন করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখান থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠালে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। তার পর থেকেই শাহ আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো।
[৪] রংপুর নিজ বাড় তে যাওয়ার আগে শাহ আলম এ প্রতিবেদক-কে বলেন, আল্লাহর রহমতে এখানে খুব ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। সবাই আমার খবর নিয়েছে বাড়ীতে যাচ্ছি। বাড়ীতে মানুষ যেন আমাকে অন্য চোখে না দেখে এই কামনায় সবার করি। আমার জন্য এবং সবার জন্য দোয়া করবেন সবাই যেন আমার মত সুস্থ্য হয়ে উঠে।
[৫] মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শফিক আমিন কাজল এ প্রতিবেদক-কে বলেন, রংপুরের ধাপ এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের করোনা সনাক্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন কেন্দ্রে রাখা হয়।
[৬] এরমধ্যে ১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল তার নমুনা পজেটিভ আসে। তারপর তাকে নিবির পরিচর্যায় রাখা হয়। তার অবস্থা স্বাভাবিক ভেবে গত ১৩ এপ্রিল নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হলে ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। আবারও ২১ এপ্রিল তার ফলাফল নেগেটিভ আসে। সবশেষ ২২ এপ্রিল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে নমুনা পাঠানো হলে সেখানেও নেগেটিভ আসায় তাকে ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শাহ আলমকে ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দেয়ার সময় সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :