আরএইচ রফিক : [২] বগুড়ায় মরনব্যাধি নভেল করোনা ভাইরাসের থাবার সংক্রামন থেকে রক্ষা পেতে সরকারী সকল উদ্যোগ ’বজ্রমুষ্ঠি’ ফসকা গেড়োতে পরিনত হয়েছে। লকডাউন এবং সরকারী নির্দেশ এবং আইন শৃংখলা বাহিনী ও পুলিশের রক্ষচক্ষু উপেক্ষা করে রাস্তায় বাড়ছে মানুষের ঢল। কোন অবস্থাতেই মানুষের স্রোত যেন থামানো যাচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চরে প্রবেশ ধারখ্যাত বগুড়া এখন ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। করোনায় সংক্রামক হবার ঝুঁকি থাকার পরও বাহিরে বের হওয়া মানুষজনের অনেকেই মুখে মাস্ক লাগাচ্ছেনা ।
[৩] জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষের রাস্তায় বের হওয়া বন্ধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অব্যাহত ভাবে মাইকিং করছে বাংলাদেশ সেনা জোয়ান ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা । কিন্তু তার পরেও সকল নিদের্শ আদেশ অমান্য করে রাস্তায় নামছে মানুষ , ভাবখানা যেন কিছুই হয়নি।
[৪] সরকারী নিষেদ্ধাজ্ঞা,লক ডাউন এবং অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও গত ২দিন যাবত বগুড়া শহর যেন তার শত চেনা শহরে পরিনত হচ্ছে। গত কয়েক দিনে কোভিড-১৯ এ কয়েক জনের মৃত্যু এবং বেশ কয়েক জন নভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হবার পর গত ২১ তারিখে গোটা বগুড়া জেলাকে লক ডাউন ঘোষনার পর থেকেই মানুষ যেন আরো বাঁধ ভাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সকল নিয়মকানুন উপেক্ষা করে তারা বেপরোয়া ভাবে হাটবাজার রাস্তায় নেমে পড়ছে।
[৫] বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বগুড়ার অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথে দেখা গেছে বাধভাঙ্গা বিপুল সংখ্যক মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচল।
[৬] সরকারী নিষেদ্ধাজ্ঞা অমান্য করে লকডাউন বগুড়া শহরে খোলা রয়েছে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট। জরুরি সেবার বাইরে রাস্তায় বেচা কিনি হচ্ছে জিনিষ পত্র । দোকানের সার্টার অর্ধেক নামিয়ে বেচাকিনি চলছে বিভিন্ন দোকানে দোকানে ।
[৭] প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নিদিষ্ট সময়ের বিকল্প কাঁচা বাজারের সাথে সাথে মুদি দোকানে উপছে পড়ছে ক্রেতার ভিড়। এছাড়াও শহরের রাজা বাজার ,ফতেহ আলী বাজারে সকাল ১০টার মধ্য সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সব যেন চিচিং ফাঁক।
[৮] লকডাউন ঘোষনার পরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখা গেছে অন্যন্ন উপজেলা পার্শ্ববতি এলাকা থেকে শহরের অবাধে সিএনজি ,অটো ইজিবাইকে হাজার হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করছে।
[৯] বিভিন্ন রাস্তার মোড় , সড়কে ও গলির মুখে রিকশা, সিএনজি অটো রয়েছে যাত্রীর অপেক্ষায়। অনেক সড়কে জটলা করে কাজের অপেক্ষা করছেন শ্রমজীবি ,শ্রমিক, দিনমজুর।
[১০] সকাল থেকে শহরে প্রান কেন্দ্র সাতমাথা সহ কলোনী বাজার , তিনমাথা ,চারমাথা ,মাটিডালী মোড় সাবগ্রাম , চেলোপাড়া মোড় ,ফতেহআলী মোড় সহ বিভিন্ন রাস্তায় সেনা বাহিনী ও পুলিশী ছির নিয়মিত।তার পরেও সকাল থেকে বেলা ২/৩পর্যন্ত শহরে মানুষের ঢল ছিল অব্যাহত ।
[১১] এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বুধবার সন্ধ্যার পর অলিগলিতে যুবক ও তরুণদের আড্ডা লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মহল্লা মহল্লায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে রাস্তায় ব্যরিকেড দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও দেখা গেছে খোজ নিয়ে দেখা গেছে এসব ব্যারিকেড এর ভেতরে ভেতরে অলি গলিতে সকাল থেকে রাত অবধি উঠতি বয়সি যুবকদের আড্ডাবাজী চলছে অহরহ। মাঝে মধ্য সেনা ও পুলিশ টহল এলে কিছু সময়ের জন্য এলাকা ফাঁকা হলেও তারা চলে যাবার পর আবারো শুরু হয় আড্ডাবাজী ।
আপনার মতামত লিখুন :