ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ : হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় মন ভালো রাখার বিভিন্ন উপায়ের কার্যকারিতার তুলনা করা হয়েছে। যেমন, ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের একধরনের হরমোন নিঃসরণের কারণে অল্প কিছুক্ষণের জন্য একটা প্রশান্তির ভাব আসে। আবার, কোনো শখের জিনিস কিনলে আরও বেশি সময় খুশি খুশি লাগে। এছাড়া কোনো প্রাপ্তি বা সফলতা (যেমন, চাকরিতে পদোন্নতি বা কোন ব্যবসায়িক সাফল্য) কয়েক দিনের জন্য আনন্দ দিতে পারে। তবে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ভালো লাগার ভাব (যা অবচেতন মনেও থেকে রায়) আসে অন্য কাউকে খুশি করার উপলব্ধি থেকে। এর জন্য যে অনেক অর্থ ব্যয়ে বড় আকারের সাহায্যের আয়োজন করতে হবে তা নয়, বরং কারো প্রতি একটুখানি সহযেগিতার হাত বাড়িয়ে তাকে খুশি হতে দেখাই যথেষ্ট। আর দৈনন্দিন জীবনে এমন অভ্যাস করতে পারলে সব সময়ই একটা তৃপ্তির ভাব থাকে যা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। (এ গবেষণায় ধর্মচর্চার মানসিক প্রভাব দেখা হয়নি।)
করোনার গৃহবন্দী সময়ে আমরা মনোবিজ্ঞান গবেষণার এ ফলাফলটি নিজেরাই পরীক্ষা করে দেখতে পারি। পরিচিত দুস্থ পরিবারগুলোকে বিকাশ-এর মাধ্যমে যে পরিমাণেই হোক টাকা পাঠাতে পারি। ক্রেডিট কার্ড থেকে বিকাশে টাকা সহজেই ঢোকানো যায় (একসাথে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঢোকানো যায়; ইমেইল বা টেলিফোন মেসেজে একটা ঙচঞ আসবে যা তাৎক্ষণিক বিকাশের পেইজে ব্যবহার করতে হবে)।
উল্লেখ্য, মনোবিজ্ঞানের এ বিষয়টি অর্থনীতি শাস্ত্রের একটি মৌলিক অনুমানের পরিপন্থী; তা হল অর্থ হস্তান্তর করলে একজনের তৃপ্তি বাড়ে, আরেকজনের কমে, যে কারণে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে একজন গরিব ফেরিওয়ালার সঙ্গেও আমরা অনেক দরদাম করি। তবে সৌভাগ্যক্রমে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের বাইরে আমাদের আচরণ মানবিক গুনে অনেক সম্বৃদ্ধ। সে কারণেই পৃথিবী বসবাসযোগ্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :