নূর মোহাম্মদ: [২] আইনজীবীদের আবেদন অনুযায়ী সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, জরুরি বিষয় শুনানির জন্য আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হিসেবে বিচাপতি মো.নুরুজ্জামান দায়িত্ব পালন করবেন।
[৩] হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আর আদালত পরিচালনায় কর্মপন্থা, সামাজিক দূরুত্ব অনুসরনে নিয়ম-কানুন নিয়ে বিচারপতি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিবেন।
[৪] জরুরি জামিন শুনানির জন্য সপ্তাহে দুই দিন জেলা ও দায়রা জজ আদালত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে। তা না হলে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় একটি মামলার শুনানিতে কেবল একজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর শুনানিতে আসামিকে হাজির না করতে বলা হয়। এছাড়া পূর্বে জামিনপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দুই সপ্তাহ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।
[৬] করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে মিলিত হন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরপরই ওই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
[৭] এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদক স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন। সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চিঠি দেন ঢাকা বারের সভাপতি-সম্পাদকও। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ১৪ জন আইনজীবীও সীমিত পরিসরে এক/দুটি বেঞ্চ কিংবা অনলাইনে কোর্ট খোলা রাখতে চিঠি দেন।
আপনার মতামত লিখুন :