শিরোনাম
◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০১:১৮ রাত
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০১:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনা চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ : শ্রীলংকার সাফল্য দেখে ভারতও সিদ্ধান্ত নিলো

সালেহ্ বিপ্লব : [২] কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি চীনা গবেষণাপত্রে বলা হয়, বারোটি ভেষজ সমৃদ্ধ ক্বাথ বা পাচন খাইয়ে করোনামুক্ত করা হয়েছে বহু রোগীকে। ওই সূত্র ধরে  ভারতের সাড়ে সাত হাজার আয়ুর্বেদ চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানান, করোনা-যুদ্ধে তাদের যুক্ত করা হোক। সংবাদ প্রতিদিনি, এবিপি

[৩] গেলো মার্চের ২৮ তারিখ দেশের সব আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন মোদী। তৈরি হয় জাতীয় আয়ুর্বেদ প্রটোকল। সে অনুযায়ী, কেরালা, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর এবং গোয়ায় করোনা মোকাবেলায় যুক্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আয়ুর্বেদ খাওয়ানো শুরু হয়।

[৪] শ্রীলংকা নজর রাখছিলো ভারতের ওই পদক্ষেপের ওপর। ভারত প্রটোকল ঘোষণা করার পর শ্রীলঙ্কাও জাতীয় প্রটোকল তৈরি করে।  দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. টি বীরারত্ন বলেছেন, “এ দেশের বেশিরভাগ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ভারতীয় ডিগ্রিধারী। তাই ভারত প্রটোকল তৈরি করায় আমাদের সুবিধা হয়েছে।”

[৫] শ্রীলংকায় সংকটজনক রোগী ছাড়া বাকিদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ডাক্তাররা ইতিমধ্যে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শুরু করেছেন।  বীরারত্নের দাবি, আয়ুর্বেদ ওষুধ সেবনে দ্রুত সংক্রমণমুক্ত হচ্ছেন রোগীরা। খাওয়ার ওষুধের পাশাপাশি ন্যাচারোপ্যাথিও প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেমন স্টিম ইনহেলেশন বা নাক-মুখ দিয়ে গরম ভাপ নেয়া।

[৬]  ডা. টি বীরারত্ন জানান, ওষুধ হিসেবে সুদর্শনঘনচূর্ণ দেয়া হচ্ছে রোগীদের। বিল্বাদি গুটিকা, ষড়াঙ্গ কষায়ও প্রয়োগ হচ্ছে। ভাইরাস ধ্বংসের জন্য ব্যবহার হচ্ছে অপরাজিতা ধূপ। পশ্চিমবঙ্গের দুই আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. সুমিত শূর ও বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, গুগ্গুল, ধুনো, নিম, আকন্দ, দেবদারু ও অগুরু কাঠের চূর্ণ মিশিয়ে এই ধূপ তৈরি করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর জীবাণুমুক্ত করতে তা খুবই কার্যকর। এছাড়া গরম পানিতে নীলগিরি তেল মিশিয়ে ভাপ নিচ্ছেন করোনা শনাক্তরা। খাওয়ানো হচ্ছে গুরুচি ও অশ্বগন্ধা চূর্ণও।

[৭]শ্রীলঙ্কার আয়ুর্বেদ নীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ সচিব ডা. রাজেশ কোটেচা। তিনি বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। এর সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

[৮] ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) মতো গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আয়ুর্বেদসহ অন্যান্য ভেষজ ওষুধের বৈজ্ঞানিক বৈধতা নির্ধারণ করতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

[৯] আয়ুর্বেদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক জানান, এখনও পর্যন্ত আমরা ২ হাজারের মতো প্রস্তাব পেয়েছি। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর আইসিএমআর সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

[১০] গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুর্বেদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুধুমাত্র করোনা প্রতিরোধই নয়, করোনা পজিটিভ রোগীর চিকিৎসায়ও আয়ুর্বেদ, যোগ, ইউনানি, সিদ্ধ, হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। যুগ্মসচিব পি এন রাজকুমারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সব শাখার চিকিৎসকরা চাইলে এখন আইসোলশেন থাকা করোনা পজিটিভ রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়