কাজী হানিউম মারিয়া : ১. একজন ভিখারী এই কঠিন সময়ে তার জমাকৃত টাকা ইউএনওর ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন। আর নেতারা ত্রাণ চুরি করে তাদের খাটের নিচ পর্যন্ত ভরে ফেলছে। চুরি করে সব শেষ করে তারা আবার শপথ নিয়েছে ত্রাণ নিয়ে কোনো নয়ছয় করবেন না। আমি অপেক্ষায় থাকলাম তাদের কী বিচার হয় দেখার জন্য।
২. এন৯৫ মাস্ক নিয়ে অভিযোগ/পাল্টা অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর মাস্ক যাচাই করতে পাঠানো মন্ত্রীর কাছে, ফের স্বাস্থ্য সচিবের হুমকি। লম্বা নাটকে ডাক্তার-নার্সরা আক্রান্ত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী করে কি যে প্রধানমন্ত্রীকে মাস্ক যাচাইয়ের জন্য তার কাছে পাঠাতে হয়? ৩. অবশেষে স্বাস্থ্য সচিবের বক্তব্য, বাক্সে ভুল করে অন্য মাস্ক দিয়ে দিয়েছে। টেন্ডারবাজিতে বাংলাদেশের সচিবালয়গুলো কতো কিছু দেখালো। বালিশ টেন্ডারবাজির মতো এটির দোষও জামায়াত-বিএনপির ঘাড়ে পড়েছে। কথা হলো এই মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যদি জামাতের পৃষ্ঠপোষক হয় তাহলে তাদের সঙ্গে মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র, সচিবালয় সংশ্লিষ্টদের এতো ঘনিষ্ঠতা কীভাবে হয়? এই চোরগুলোর কী শাস্তি হবে তাও দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
৪. ডাক্তারদের প্রণোদনা দেওয়ার নীতিমালা কে বানিয়েছে? ডিউটিরত অবস্থায় করোনা পজিটিভ হতে হবে। রিস্কভাতা বলে কিছুই নেই। আবার সরকারি কর্মকর্তাদের সাহায্য দেবে পদ অনুসারে। ব্যাপারটা এমন যে করোনা খুব স্ট্যাটাস মেইনটেইন করে হয়। ৫. ভিআইপি আইসিইউ বানানো হচ্ছে। মরে গেলে ভিআইপি কবর দেওয়া হবে। ভিআইপি ভূত/পেতœী এসে তা যাচাই করে যাবে। কী হচ্ছে এসব। আপনি যদি এসব বিষয়ে অবাক হন বা আমার মতো বিচারের অপেক্ষা করেন তাহলে আপনি আমার বোকাতুতো ভাইবোন। এর চেয়ে বরং মন ভালো রাখুন। মানসিকভাবে শক্ত থাকলে করোনা মোকাবেলা সহজ হবে। অনেকে রোগী হাসপাতালে না গিয়েও আইসোলেট থেকে সুস্থ হয়ে গিয়েছে মনের জোরে। এ দেশে একা একা বাঁচতে শিখতে হয়।মনের আনন্দের জন্য জাস্টিন ট্রুডোর ভিডিওটা (রোমান্টিক গানযুক্ত) বারবার দেখতে পারেন। ভাবতে পারেন, এতো সুন্দর করে দরজা খুলে চুল উড়িয়ে কেউ কীভাবে বের হয়। ফিরে যাওয়ার সময় আবার পেছন ফিরে তাকায়। সময় ভালো কাটবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :