শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনাকাল : প্ল্যান টু রি-ওপেন

সাঈদ তারেক : করোনার ভাবগতিক মোটামুটি বোঝা হয়ে গেছে। মাসখানেকের এক্সারসাইজ এবং প্রাকটিসে ধরেও ফেলেছি কীভাবে এটা হামলা করে, মুক্ত থাকার উপায় কী বা কী করলে ধরা খেতে হবে। মনে হচ্ছে একটা ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত করোনাকে পার্ট অফ লাইফ বলেই মেনে নিতে হবে। কিছু করার নেই। করোনা আছে থাকবে। ২০ এপ্রিলও মারা গেছে ১০ জন। নতুন শনাক্ত আগের দিনের প্রায় ডাবল। একেবারে অগ্রত্যাশিত নয়। আগেই বলা হয়েছে পরীক্ষা যতো বাড়বে শনাক্তের হারও ততো বাড়বে। তাই হচ্ছে। চেষ্টা করতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শনাক্তদের যেন আলাদা করে ফেলা যায়, সংখ্যা যেখানে গিয়েই ঠেকুক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত হলেই ঘাবড়াবার কিছু নেই। ৮০ শতাংশ রোগী সাধারণ চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায়। ১৫ শতাংশ বিশেষায়িত চিকিৎসা দিলে সুস্থ হয়। পাঁচ শতাংশকে বাঁচানো সম্ভব হয় না, কারণ তারা অন্যান্য জটিল রোগে আগে থেকেই কাহিল থাকেন। চিকিৎসাবিদদের এই অভিমত যদি সত্য হয় তাহলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেখে হিসাব কষলেই ফলাফল জানা হয়ে যায়। এটাই রিয়্যালিটি এবং এটাও সত্য এর মাঝেই জীবন এগিয়ে নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ব্যক্তি দূরত্বÑ এখন পর্যন্ত এর কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক গ্লাভস পড়তে হবে জনসমাগম এড়াতে হবেÑ এটা যেমন করণীয়, তেমনি কেউ আক্রান্ত হয়ে গেলে তার যথাযথ চিকিৎসাও চলবে। এভাবে সব কিছু মিলিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থাও ফিরিয়ে আনতে হবে। আজ সবাই বুঝতে পারছে গোটা বিশ্ব এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্ট্যান্ডস্টিল হয়ে থাকতে পারে না। এখন পর্যন্ত ভালো খবর দেশে দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসছে। লকডাউনও শিথিল হচ্ছে, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আমরা যে স্টেজটা অতিক্রম করছি তাতে আরও কয়েকটা দিন হার বাড়তির দিকেই থাকবে। হিসাবমতে এরপর কমে আসতে শুরু করবে। কবে নাগাদ এমন কোনো পূর্বাভাস নেই। এ অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব কিছু বন্ধ রেখে ঘরে বসে থাকাও সম্ভব নয়। প্রায় এক মাস হতে চললো, মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছে। লকডাউন মানতে চাইছে না। যাদের প্রয়োজন তারা আগে থেকেই রাস্তায়। এখন দিন যতো যাচ্ছে অন্যদেরও ঘর থেকে বের হয়ে আসার প্রবণতাও বাড়ছে। মানুষকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, কারণ এটাই স্বাভাবিক। ২৫ এপ্রিল সরকারি ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আর মাত্র পাঁচদিন। মৃত্যুর সংখ্যা যাই হোক এখনো যে হারে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে মনে হয় না ২৬ এপ্রিল থেকে সব কিছু খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এখনো অনেক এলাকা লকডাউনে, চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি কোয়ারেন্টাইনে। এসবের মেয়াদও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। এখনো প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা খেকে নতুন শনাক্তের খবর আসছে, লকডাউন হচ্ছে। এ অবস্থায় পাঁচদিন পরই সব কিছু খুলে দেওয়া যাবেÑ এমনটা কেউ মনে করছেন না। আমরা আশা করতে পারি পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ৩ মে থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু ৯ মে’র পর মানুষকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না। তখন চলবে রোজা, ঈদের থাকবে মাত্র দুই সপ্তাহ। মানুষ হয়ে যাবে মরিয়া। কিছু কিছু সূত্র থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে সাধারণ ছুটি কয়েকদিন বাড়ছে। যে কয়দিনই বাড়ুক এখন থেকেই প্ল্যানিং করতে হবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ধাপগুলো কী কী হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মহোদয়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা থেকে যেমন মানুষকে বাঁচতে হবে তেমনি অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকেও দেশকে বাঁচাতে হবে। তার জন্য গার্মেন্টস চালু রাখতে হবে, বন্দর খুলে দিতে হবে, গণপরিবহন লাগবে, কৃষিকাজ সচল রাখতে হবে, কৃষি পণ্যের বাজার এবং সরবরাহ ব্যবস্থা নিরুপদ্রুত রাখা, শিল্প পণ্যের উৎপাদন, রেমিট্যান্স প্রবাহও ধরে রাখতে হবে। একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাতগুলো ঠিক করে কোন কোন পর্যায়ে কতোটুকু করে খুলে দেওয়া যায় এখন থেকেই তার বিশদ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। আর পরিকল্পনা যদি সঠিক না হয়, আরেকটা ভজঘট লেগে যাবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়