ফরহাদ আমিন : [২]করোনা ভাইরাস আতঙ্কের পর পুরো কক্সবাজার জেলা লকডাউন করেছেন জেলা প্রশাসন।তবে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে কাজ করা এমন মাঠ পর্যায়ের ২৪ জন সংবাদকর্মী ও ৬জন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৩০জনের বাড়িতে ব্যক্তিগত (সম্মানী ভাতা) থেকে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
[৩]বুধবার বিকেলে ইফতার সামগ্রীগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।এতে প্রতিটি পরিবারকে ২কেজি চনা,২কেজি আলু, ১কেজি চিনি, ২ কেজি মুড়ি,১কেজি পেঁয়াজ,১কেজি খেজুর,১লিটার তেল, একটি দুধের প্যাকেট ও একটি ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে।
[৪]টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল হোসাইন বলেন,মহতী এ উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা ইউএনও মহোদয়কে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানায়।
[৫]দৈনিক প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন বলেন,চিকিৎসক, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি এলাকার ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। এলাকার মানুষকে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংবাদকর্মীরা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায় থেকে খবর সংগ্রহ করে প্রচার করছেন। আমার জানামতে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তার এ উদ্যোগ নিলেন। তাই টেকনাফের ইউএনওর এই ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এই উদ্যোগটা সংবাদকর্মীদের জন্য এক ধরনের স্বীকৃতিও বটে।[৬]এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,আমার ব্যক্তিগত( সম্মানী ভাতা) থেকে নিজ উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে পাঠকের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করা এমন ২৪ জন সংবাদকর্মী এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিত বেহাল দশায় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬জন শিক্ষককে সামান্য পরিমাণ সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।
আপনার মতামত লিখুন :