সুজন কৈরী : [৩] বুধবার পুলিশ পরিচালিত ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ সময়ে কলের পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৩১ হাজার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে অনেক বেড়েছে। ১৮ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবায় মোট কল করা হয়েছে ১৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৭২টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৫১টি।
[৪] ৯৯৯ এর পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার বলেন, এসব কলের মধ্যে ৩০ হাজার ৭১৯ জন কলারকে বিভিন্ন সার্ভিস দেয়া হয়েছে। যাকে আমরা কল ফর সার্ভিস (সিএফএস) বলি। বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এসব সার্ভিস দেয়া হয়েছে। এসব কলের মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল ছিল হাজার ৮ হাজার ৪৫২টি। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য চেয়ে কল এসেছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯টি। এটাকে আমরা করোরা রিলেটেড ইনকোয়ারী কল বলি। গত ১৮ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব মিলিয়ে করোনা সংক্রান্ত মোট ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৫১টি কল পাওয়া গেছে।
[৫] তিনি আরো বলেন, কল পাওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট থানাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সহায়তা চেয়ে কল এসছে ৬৮৪টি। কলগুলো সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, জেলার এসপি ও ইউএনওদের কাছে ট্রান্সফার করা হয়। তারা যাচাই-বাছাই করে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে ৩৩৩ নম্বরেও কল ট্রন্সফার করা হচ্ছে।
[৬] পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, যেহেতু আগে ত্রাণের সহায়তা চেয়ে কল না আসায় বিষয়টি নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার থেকে এ কলগুলোর রেকর্ড রাখা হচ্ছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে আগুনের ঘটনা বা অ্যম্বুলেন্স সেবা চেয়েও অনেক কিছু কল এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :