রাজু আলাউদ্দিন : [২] শূন্যের নিচে নামার পর আবারো স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের বাজার। তবে এখনো আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২০ ডলারের নিচে। জ্বালানির বাজারের এমন অস্থিরতায় ধস নেমেছে মার্কিন পুঁজিবাজারে।
[৩] যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালে নাইন ইলেভেনে সন্ত্রাসী হামলার পর জ্বালানি তেলের দাম সর্বনিম্ন ব্যারেল প্রতি ১৮ ডলারে নেমেছিল। এরপর কোভিড নাইনটিনের ভয়াবহতায় আবারও বিশ্বের জ্বালানির বাজারে ভয়াবহ ধস। মঙ্গলবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তো ব্যারেল প্রতি শূন্যের নিচে নেমেছিল। এরপর বুধবার তা বেড়েছে ১ ডলারে।
[৪] এদিকে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নেমেছে ব্যারেল প্রতি ১৮ ডলারে। লকডাউনের কারণে বিশ্বের জ্বালানির বাজারে এ ভয়াবহ ধস বলে জানা গেছে। জ্বালানির দরে স্থিতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জ্বালানি তেল রফতানিকারক ওপেক সদস্য দেশগুলো।
[৫] তাদরে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চাহিদা কমায় আগামী ১ ‘ম’ থেকে দৈনিক ৯ কোটি ৭০ লাখ ব্যারেল জ্বালানির উত্তোলন কমাবে ওপেক। এদিকে জ্বালানির দরপতনে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও সূচকের পতন হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সূচক ডও জনস, নাসডাক আর এস অ্যান্ড পি দর হারিয়েছে।
[৬] মজুতের মতো স্থান না থাকলেও উত্তোলন কমছে না জ্বালানির। এদিকে বিশ্বের প্রায় সব দেশে করোনাভাইরাসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় জ্বালানির চাহিদা একেবারেই কমে গেছে। এ কারণেই জ্বালানির বাজারে ধস নেমেছে। ২০২০ সালের শেষদিকে আবারো বাজার স্থিতিশীল হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :