যশোর প্রতিনিধি : [২] জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করে চৌগাছার যে দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে, তাদের একজন নারী (৩৭), অন্যজন স্কুলছাত্র (১৩)। আক্রান্ত নারী একজন গৃহিণী। কীভাবে তারা করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন।
[৩] উপজেলা প্রশাসনের ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলো লকডাউন করা হচ্ছে। আর আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের খুঁজে বের করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য তা ল্যাবে পাঠানো হবে।
[৪] বুধবার সকালে এইসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
আক্রান্ত ওই স্কুল ছাত্র চৌগাছা শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বিধবা মা শহরের স্বর্ণপট্টির ডাক্তার আনিছুজ্জামান-নাহার কল্যাণ সমিতি পরিচালিত ‘নাহার ডায়াবেটিক সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী।
[৫] আর আক্রান্ত নারী শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি কার সংস্পর্শে এসে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারটির কেউ এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
[৬] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরের ডায়রিয়া ও জ্বর ছিল। আর ওই নারীর জ্বর ও গলাব্যথা ছিল। তারা প্রথমে করোনা পরীক্ষা করাতে চাননি। কিন্তু উপসর্গগুলো করোনার হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক এক প্রকার জোর করেই তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য যশোরের সিভিল সার্জনের দপ্তরে পাঠান।
[৭] উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, মঙ্গলবার চৌগাছার চারজন রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় যশোর সিভিল সার্জন অফিসে। সেখান থেকে নমুনাগুলো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দুইজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
[৮] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন ‘চৌগাছায় দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জেনেছি। এখন রোগীদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলো লকডাউন করা হবে।’ সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :