নওগাঁ প্রতিনিধি: [২] উপজেলায় গলায় ফাঁস দেয়া আঁখি (২০) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের বাবার পরিবারের দাবি তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় নিহতের স্বামী পাইলটকে আটক করা হয়েছে।
[৩] বুধবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চক-শ্রীকৃষ্ণ গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
[৪] স্থানীয় ও নিহতের বাবার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে পাইলট কম্পিউটারের কাজ করেন। তিনি নিয়মিত মাদক সেবন করায় স্ত্রী সাথে এ নিয়ে পারিবারিক কলোহ হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও দ্ব›দ্ব হয়। এ নিয়ে আঁখিকে নির্যাতন করা হয়। রাতের কোনো এক সময় আঁখি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে প্রতিবেশিরা আঁখির বাবার বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি অবগত করা হয় তাদের মেয়ে মারা গেছে। তবে আঁখির নানা লাল চাঁন দাবি করেন তাদের মেয়েকে রাতে নির্যাতনের পর হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে থানায় সংবাদ দিয়ে বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
[৫] মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ঘরের দরজা জানালা ভিতর থেকে বন্ধ ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের হাতে বেøডের আঘাত ছিলো। ঘটনার পর নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :