লিহান লিমা: [২] অস্ট্রেলিয়ার কমিশন ফর হিউম্যান ফিউচার এর বিশেষজ্ঞ গবেষকদল মানবসভ্যতার টিকে থাকার জন্য হুমকি এই দশ সম্ভাব্য ঝড়ের কথা উল্লেখ করে পৃথিবীকে বাঁচাতে বিশ্বকে আহবান জানান। তারা মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত বিপর্যয় ও ক্রমবর্র্ধবান জনসংখ্যার হার নিয়ে সতর্ক করেন। গার্ডিয়ান, দ্য কনভারসেশন
[৩] এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সব প্রধান প্রধান চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য করোনা ভাইরাস মহামারী সঠিক সময়। দেশগুলোকে এটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামীর বিপর্যয়ের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতির মূল্য বুঝতে হবে।
[৪] প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ১০ বিপর্যয়গুলো হলো:-
১. প্রাকৃতিক সম্পদ কমে যাবে। বিশেষ করে পানির মতো জীবন রক্ষাকারী সম্পদ।
২. বাস্তুসংস্থান ধ্বসে পড়বে এবং জীববৈচিত্র হ্রাস পাবে।
৩. জনসংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে যা পৃথিবীর ধারণ ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাবে।
৪. বৈশ্বিক উষ্ণতা ও মানবসৃষ্ট জলবায়ুু পরিবর্তন বৃদ্ধি পাবে।
৫. পৃথিবীর বায়ুমÐল ও সমুদ্রে বাড়বে রাসায়নিক দূষণ
৬. খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে ও খাদ্যে পুষ্টির মান কমে যাবে।
৭. পারমাণবিক ও অন্যান্য বিধ্বংসী অস্ত্র ভয়াবহ ধ্বংস ডেকে আনবে।
৮. নতুন নতুন মহামারী ও চিকিৎসার অযোগ্য রোগব্যাধী বৃদ্ধি পাবে।
৯. শক্তিশালী, অনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটবে।
১০. জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে সরকারগুলো এই ঝুঁকি বুঝতে অক্ষম হবে ও হুমকি কাটাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হবে।
[৫] গবেষকদলের প্রধান জন হাওসন বলেন, ‘কোনো সরকারেরই এই ঝুঁকিগুলো থেকে বিশ্বকে রক্ষায় পরিকল্পনা নেই। প্রস্তুতিহীনতার এই পর্যায় মানবসভ্যতাকে অজানা সংকটের মধ্যে ঠেলে দেবে।’ গবেষকদল আহবান জানান, এই প্রতিটি সমস্যা একযোগে মোকাবেলা করতে হবে। পারমাণবিক অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কমানো, জ্বীবাশ্ম জ্বালানির নতুন প্রকল্প নিষিদ্ধ করা, বন্যপ্রাণী ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সুরক্ষায় বৈশ্বিক আইন, নবায়নযোগ্য খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :