শাহানুজ্জামান টিটু : এখানে পরীক্ষা হয় ২০০০-৩০০০। এর মধ্যে সাড়ে ৪শতাধিক আক্রান্ত হয় তাহলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে শতকরা হিসাব কত। ইতিমধ্যে ১০০ জন মারা গেছেন, এই পার্সেন্টেজও কত। এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল যারা আক্রান্ত হচ্ছেন সেটা নিরূপণ করার কোন পথ আমাদের কাছে নেই। পরীক্ষার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। এতটাই সীমিত যে যারা পরীক্ষা করাতে চান তারা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। বুধবার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এখানে অভিযোগ আছে ১১ টি হাসপাতাল ঘুরেও পরীক্ষা করাতে পারেনি বা ভর্তি হতে পারেনি। তারপর পথের মধ্যেই মারা গেছে। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পরীক্ষার জন্য যে সেন্টারগুলো করা দরকার এখনো পর্যন্ত প্রত্যেকটা জেলায় কোন সেন্টার স্থাপন সম্ভব হয়নি। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে আসে। তারপর নমুনা পরীক্ষা করে ঢাকা থেকে পাঠানো হয়। আক্রান্ত হয়েছে কি হয়নি। আপনি বুঝতে পারছেন না কোথায় কি আছে না আছে। আমরা বলতেও পারছি না। বুঝতেও পারছিনা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে কিটসের স্বল্পতা রয়েছে ফলে প্রথম থেকেই পরীক্ষার অভাবে বিভিন্নভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতনতা তাও শুরু হয়েছে অনেক পরে। চীনে ওহানে আক্রমণ হওয়ার পর থেকেই বিএনপি থেকে আমরা সতর্ক করার চেষ্টা করেছি। সরকারকে বলেছি এ বিষয়ে অত্যন্ত অ্যালার্ট হওয়া দরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে যেমন দ্রæত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বলা হচ্ছে ইনফুয়েঞ্জা জ্বর অথবা এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :