মহসীন কবির : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের মর্গে এই ১৫টি মরদেহের বাইরে আরও ৫টি বেওয়ারিশ মৃতদেহ আছে। এছাড়া পুলিশ কেসের অন্তভূক্ত কয়েকটি মরদেহ মর্গে পড়ে আছে। করোনা পরিস্থিতিকে ঢামেক কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষা না করে মরদেহগুলো হস্তান্তর করছে না। আর স্বজনরা করোনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত মরদেহ গ্রহণ করছে না। এখন পরীক্ষা করে করোনা কিনা সেটি নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। মানবজমিন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ওয়ার্ড মাস্টার আব্দুুল গফুর বলেন, গত পরশু দিন থেকে কালকে পর্যন্ত ১৫ টি মরদেহ জমা হয়েছে। এছাড়া পুরাতন কিছু মরদেহ আছে। আমরা করোনা পরীক্ষা করে করে মরদেহ হস্তান্তর করছি। কারণ করোনা কিনা সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্বজনরাও মরদেহ নিচ্ছে না। অনেক স্বজন করোনা পজিটিভ হওয়াতে মরদেহ নিচ্ছে না। যেসব মরদেহ স্বজনরা নিচ্ছে না সেগুলো সরকারিভাবে দাফন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে মর্গে মরদেহের স্তুপ জমা হওয়াতে হাসপাতালজুড়ে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্যান্য রোগীর স্বজন ও ঢামেকের কিছু স্টাফদের ধারনা করোনা আক্রান্ত হয়েই এসব রোগী মারা গেছেন। তাই সুরক্ষা ছাড়া মর্গের আশপাশ দিয়ে কেউ যাওয়া আসা করছে না। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন। স্বজনরা জানিয়েছেন, এলাকা থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে মরদেহ নিয়ে যেনো তারা এলাকায় প্রবেশ না করে। তাই তারা মরদেহ নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মরদেহ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবার কিছু মরদেহের স্বজনদের মিলছে না। সেগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :