ইয়াসিন আরাফাত : [২] করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষের নাম। আক্রান্তের তালিকায় যোগ হচ্ছে কম করে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
[৩] ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বব্যাপি মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে এরই মধ্যে জর্জরিত ২১০টি দেশ ও অঞ্চল। ইতোমধ্যে মহামারী এ ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ১১২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৬ জন। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮০ জন।
[৪] করোনায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। ক্ষমতাধর এই দেশটিতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৪৭ জন। পাশাপাশি প্রাণহানী ঘটেছে ২ হাজার ৭১২ জনের। এর ফলে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে, ৮ লাখ ১৭ হাজার ৬ জন এ। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪৫ হাজার ২২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৪৩ জন।
[৫] স্পেনে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৮ জন। এর ফলে দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ৪৩০ জন নিয়ে এ পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ২১ হাজার ২৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৪ জন।
[৬] ইতালিতে গত কয়েক দিনের তুলনায় নতুন করে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় আবারও ২ হাজার ৭২৯ জন শনাক্ত ও ৫৩৪ জন মারা গেছে। এর ফলে বর্তমানে দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৭ জন। মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬৪৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৬০০ জন।
[৭] ফ্রান্সে বর্তমানে শনাক্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০ জন। মারা গেছেন ২০ হাজার ৭৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ১৮১ জন।
[৮] জার্মানিতে বর্তমানে শনাক্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৯১ জন। মারা গেছেন ৫ হাজার ৩৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজার ২০০ জন।
[৯] যুক্তরাজ্যে গত ২৫ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩১০ জন, মারা গেছেন ৮২৮ জন। ফলে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪ জন। মোট মারা গেছেন ১৭ হাজার ৩৩৭ জন।
[১০] বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৮২ জন। মৃতের সংখ্যা ১১০ জন। সুস্থ হয়েছে মাত্র ৮৭ জন।
[১১] গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চীনের উহানে প্রথম সনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের। এরপর প্রায় চার মাসের বেশি সময় পার হতে চললো। প্রতিনিয়তই গাণিতিক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একটি-দুটি দেশ করে ভাইরাসটি পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে সারা পৃথিবীই এখন ঘরবন্দি (লকডাউন)।
[১২]ছড়িয়ে পরার এই ভাইরাসে এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে প্রায় দেড় মাস সময় নেয়। সেটি ১০ লাখে রুপান্তরিত হতে সময় লাগলো আরো দেড় মাসের মত। গত প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বব্যাপী ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক গুন হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :