আশরাফুল আলম খোকন : এই করোনা দুর্যোগে বিএনপি কী করছে? মিডিয়াতে এসে দুইদিন পর পর পিপিই পরে জ্ঞান দেওয়া ছাড়া আর কী করছে? দলটির এতো সাবেক মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী কি হঠাৎ করে মঙ্গলগ্রহে চলে গেলো? নির্বাচনের সময়তো ঠিকই বিপদে থাকা এই মানুষগুলোর কাছে ভোট ভিক্ষা চাইবে। ড. কামাল-মান্না সাহেবদের এতো বড় ঐক্যজোট কোথায় গেলো?
বড় বড় কথা বলা আর কাজ করার মধ্যে যে বিস্তর ব্যবধান তা হয়তো এখন তারা বুঝতে পারছেন। শুধু দোষ-ত্রুটি ধরা সিপিডি-টিআইবির এখন উচিত কার কী করা উচিত এ সব না বলে বিপদে থাকা মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। তারা সবাই মনে হয় আইন মেনে পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইন পালনে ব্যস্ত। অহ হ্যাঁ ড. ইউনূস সাহেবতো কিন্তু ১৭ কোটি মানুষের দেশে গরিবের দুঃখে ব্যথিত হয়ে ১৪৫ জনকে এই দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
২. সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা একটা শিল্প। কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা। অর্থাৎ নিজেকে এবং নিজের বিষয়গুলোকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে জনগণ খুব সহজেই তা গ্রহণ করে। কিন্তু এই যোগ্যতা সবার থাকে না। অনেক সৎ, করিৎকর্মা বা দক্ষ ও পরিশ্রমী বড় বড় পদে থাকা ব্যক্তিত্ব আছেন। কিন্তু কোনো কিছুই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। হয়তো ‘চা’কে ‘ছা’, ‘করোনা’কে ‘করুনা’ বলেন।
শুধু উপস্থাপন করার অদক্ষতার কারণে নিজের ইমেজের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। কারণ দূর থেকে সততা, দক্ষতা ও কাজ দেখার সুযোগ জনগণের হয় না, তারা কথা শোনে আপনার যোগ্যতা যাচাই করে। আবার প্রায়ই এই ধরাধামে অনেক তরুণ তুর্কি কথা শিল্পীর আগমন ঘটে। ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত জীবনে চরম টাউট, বাটপার, ভ- ও মূর্খ। কিন্তু সুন্দর করে গুছিয়ে নান্দনিকভাবে কথা বলেন। ‘এইতো চলে এসেছে চলে এসেছে জাতির ভবিষ্যৎ’ বলে জনগণ তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কিছুদিন পর অবশ্য ধোঁকা খেয়ে চলে আসে। গড়ৎধষ ঙভ ঞযব ঝঃধঃঁং : দক্ষ ও যোগ্য মানুষগুলোর কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। নতুবা টাউট, বাটপার, ভ-গুলো শুধু কথা বলে বলে জাতির কর্ণধার সেজে যাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :