আনিস তপন: [৩] মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তারা।
[৪] রোজায় ইফতারির বাজার বসতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পল্লী উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইফতারির বাজার বসাতে বা করতে হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাইকে সব কিছু করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের যে স্বাস্থ্য বিধি আছে তা মেনে চলতে হবে। এটাই সরকারের নির্দেশনা।
[৫] স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যে দুর্যোগ তৈরি হয়েছে তা আমাদের সমসাময়িক কালে আসেনি। নদী ভাঙ্গন, সাইক্লোন বা বন্যার মত দুর্যোগ এটা নয়। এটা একটা ভয়াবহ দুর্যোগ। এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত সংক্রমিত হয়। তাই ঘরে থাকার জন্য সরকারেররদ যে নির্দেশনা আছে, তা সবাইকে অবশ্যই মেনে চলা উচিত। নিয়ম অনুসারে সবাইকে ৩ মিটার দূরত্বে অবস্থান করার নির্দেশনা আছে। সরকারের এসব নির্দেশনা মেনে যদি ইফতারের বাজার বসে তবে সমস্যা নেই। তিনি বলেন, মানুষ বাঁচলে ধর্ম। তারপর অন্যান্য বিষয়।
[৬] ইতোমধ্যে ১ বৈশাখের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। মসজিদে নয় বাসায় নামাজ আদায়ের তাগিদ দিয়ে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারাবীর নামাজ মসজিতে পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও আরো ভাল কোনো নির্দেশনা সরকার দিতে পারে। এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া গেলে মন্ত্রণালয় তা সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৭] একই বিষয়ে ইসলামি ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ বলেন, এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবাইকে আরো একটু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
[৮] তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম জানান, তারাবীর নামাজ বাসায় পড়তে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, নামাজ বাসায় পড়তে হবে। আর ইফতারের বাজার বসবে কি বসবে না এটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা আছে, প্রয়োজন হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাজারে যেয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবে। এই নির্দেশনাই যথেষ্ট বলে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ইফতারির বাজার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ যে সিদ্ধান্ত দিবে তাই মানতে হবে।
[৯] ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্যাহ নূর ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, ২/১ দিনের মধ্যে তারা এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে পারেন। তবে ইফতার বাজারে গণজমায়েত না করা ও তারাবী নামাজ ঘরে পড়ার জন্য নির্দেশনা আসতে পারে। তবে এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তো সব বলে দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :