ডেস্ক রীপোর্ট : [২] দ্য জেরুজালেম পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তেল আবিব ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মলিকুলার সেল বায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির প্রফেসর জোনাথন গেরশনি জানিয়েছেন, তিনি তার গবেষণাগারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ দুই-তৃতীয়াংশ সম্পন্ন করেছেন।
[৩] এ কাজে তিনি অনেকটা এগিয়ে গেলেও ভ্যাকসিনটি তৈরি হতে এক বছর সময় নিতে পারে বলে জানান গেরশনি। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন ভাইরাসটির ‘রিসেপ্টর বাইন্ডিং মোটিফ (আরবিএম)’ কে লক্ষ্য করবে, যা ভাইরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বল বিষয়।
[৪] গেরশনি জানান, আরবিএম ভাইরাসকে নিজেকে সংযুক্ত করতে এবং একটি টার্গেট কোষকে সংক্রামিত করার সুযোগ দেয়। আরবিএম হলো ভাইরাসের ‘স্পাইক’ প্রোটিনের ছোট একটি ফিচার, যার মানে ভাইরাস প্রতিলিপি করতে বিভিন্ন রকমের প্রোটিন ব্যবহার করে এবং কোষকে আক্রমণ করে। কিন্তু ‘স্পাইক’ প্রোটিন হলো প্রধান সারফেস প্রোটিন যা রিসেপ্টরের সঙ্গে নিজে একত্রিত করে- এটি আরেকটি প্রোটিন যা মানুষের কোষে প্রবেশ দ্বার হিসেবে কাজ করে।
[৫] গেরশনি ১৫ বছর ধরে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন। আরবিএমের আকৃতির কারণে এটি কার্যকরভাবে পুনর্গঠন করা খুব চ্যালেঞ্জের একটি বিষয়। আরবিএমের আকৃতি খুব জটিল ত্রিমাত্রিক কাঠামোর এবং কেবল ৫০টি অ্যামিনো অ্যাসিড শিকলের। তবে এটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ভিত্তি হিসেবে চূড়ান্ত কার্যকর হবে বলে প্রত্যাশা এই বিজ্ঞানীর।
[৬] গেরশনি আসলে আরবিএমকে লক্ষ্য করে এই ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করেছিলেন সার্স-কোভ করোনাভাইরাসের জন্য, যা ২০১৪ সালে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং পরবর্তীতে মার্স-কোভ ভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিনটির ডিজাইন করেছিলেন।
[৭] তিনি বলেন, ‘আমরা যেটি পেয়েছি তা হলো আমরা পুনর্গঠন করতে পেরেছি, একটি কার্যকরী রিসেপ্টর বাইন্ডিং মোটিফ তৈরি করতে পেরেছি এবং আমরা ২০১৫ সালে এর পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছি।’
সুত্র : রাইজিংবিডি ডট কম / ই-আ
আপনার মতামত লিখুন :