স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল : [২] নগরীতে অবস্থিত বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মাদক বিক্রিকালে ছবি তোলায় এক সংবাদকর্মীকে অমানুষিক নির্যাতন করে ক্যামেরা ভাংচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া এবং ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক মাদক আটকের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
[৩] এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত অতিরিক্ত পরিচালকসহ ২৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরিশাল কার্যালয় থেকে একযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
[৪] সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। তিনি জানান, প্রথমে বদলী করা হয় বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক এএএম হাফিজুর রহমানকে।
[৫] গত শনিবার তিনি অফিসে থাকাকালীন তার অধীনস্ত কর্মচারীরা শতাধিক ক্রেতা জমায়েত করে মাদক বিক্রি করছিল। এসময় ছবি তোলায় একজন টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সনকে নির্মমভাবে প্রহার করে ক্যামেরা ভাংচুর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মদ আটক করে। তখন অতিরিক্ত পরিচালককে অফিসেই পাওয়া যায়। এ কারণে সর্বপ্রথম অভিযুক্ত অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজুর রহমানকে বদলী করা হয়।
[৬] এর কিছুক্ষণ পরই মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন স্বাক্ষরিত একপত্রে জেলার ২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে একযোগে বদলী করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন পরিদর্শক, চারজন উপ-পরিদর্শক, চারজন সহকারী পরিদর্শক, একজন উপ-সহকারী পরিদর্শক, ছয়জন সিপাহী, একজন হিসাবরক্ষক, দুইজন গাড়ি চালক, দুইজন অফিস সহকারী, একজন অফিস সহায়ক ও একজন ওয়ালেস অপারেটর রয়েছে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :