কিশোর রকার: [২] সারাদেশে খাদ্য অধিদপ্তরের মোট ৫টি সাইলো, ১৩টি সিএসডি এবং ৬৩১টি এলএসডি আছে। কিন্তু এসকল খাদ্য গুদামে বর্তমান কার্যকরী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৯.৫০ লাখ টন।
[৩] আর বর্তমানে সরকারের গুদামে ১৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।
[৪] সোমবার প্রধানমন্ত্রী গণভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী খাদ্য মন্দা ও দুর্ভিক্ষ হতে পারে তাই সরকারীভাবে ২১ লাখ টন খাদ্য মজুদের কথা বলেছেন।
[৫] খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে আসন্ন বোরো মৌসুমে ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন চাল ও ৭৫ হাজার টল গম সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু পর্যান্ত গুদাম না থাকায় তা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্টরা।
[৬] তবে সরকারের গুদামের ধারণ ক্ষমতা বাড়তে ইতিমধ্যে ২শ ধান রাখার জন্য সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রতিটি সাইলোর ধারণক্ষমতা ৫ হাজার টন। ওই হিসাবে এ সাইলোগুলোতে মোট ১০ লাখ টন ধান সংরক্ষণ করা যাবে। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাসে এ ধানের সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হলেও আইনি জটিলতার কারণে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
[৭] তবে এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, সারাদেশে আগামী তিন মাসে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা দরে ৭৪,০০০ মে. টন চাল বিক্রির চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ত্রান কর্মসূচির মাধ্যমে চাল বিতরণ হচ্ছে। তাই গুদাম ফাকা হচ্ছে। সরকারের ১৭০টি গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া দ্রুত পুরোন গুদামগুলো মেরামত করে খাদ্যশস্য রাখার উপযোগী করা হচ্ছে বলে তিনি জানন।
আপনার মতামত লিখুন :