শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:৪২ সকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কুড়িগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

সৌরভ ঘোষ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : [২] টাঙ্গাইল ফেরত শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় রোববার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যু হয়। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া গ্রামে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আলী।

[৩] এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- নিহত শহিদুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইলের যে বাড়িতে কাজ করতে যায়। সেই বাড়ির মালিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এতে রাজমিস্ত্রি শহিদুল ইসলাম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গত ১৩ এপ্রিল নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এখানে এসেও সে নিস্তার পায়নি। এলাকার সচেতন মানুষ প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসন ওই বাড়িটি লকডাউন করে দেয়। সেই সময় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়নি। এমনকি সে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্য বিভাগ তার কোনো খোঁজখবর নেয়নি।

[৩] এলাকাবাসী আরো জানায়- নিহত রাজমিস্ত্রি বুঝতে পারছিল তার অবস্থা ভাল নয়। এ জন্য সে নিজে থেকে বাড়িতে না থেকে নির্জন ধান ক্ষেতের স্যালো মেশিনের ঘরে একটানা তিন দিন একাই ছিল। সে নিজে থেকেই পরিবার সহ এলাকার কারো সাথে মেশা ঘেষা করেনি। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলেও লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে যানায় নি। অবশেষে ১৯ এপ্রিল নিজ বসত ঘরে এসে নিঃসঙ্গ মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

[৪] এ মৃত্যুর খবর পেয়ে উলিপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার একটি মেডিকেল টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ১৯ এপ্রিল রাত পৌনে ১টায় তার সাথে কথা হয়।

[৫] তিনি জানান, আমরা মরদেহের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে এসেছি। তাকে যখন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখলেন, তখন কেন তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ওই সময় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিলো না।

[৬] এব্যাপারে দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারমান সাইফুল ইসলাম সাঈদ আক্ষেপ করে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে এ ভাইরাস ১৪ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে বলে আমরা জেনেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ যেদিন বাড়িটি লকডাউন করেছিলো, সেই দিনই তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ সহ যদি তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখতো তাহলে তার এই অকাল মৃত্যু হতো না বলে আমার কাছে প্রতিয়মান হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়