মহসীন কবির : কার্তিক দাস। ব্যাগের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন কক্সবাজারে। লকডাউন হওয়ার পর চলে আসেন লহ্মীপুরের রামগঞ্জের ভাড়া বাসায়। করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার চাপ দেন বাড়ির মালিক। নিরূপায় হয়ে ঘর ছাড়েন তিনি। চলে আসেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে। পরে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করে আইসোলেশন সেন্টারে প্রেরণ করে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নে প্রেরণ করে স্থানীয় প্রশাসন। সময় টিভি
জানা যায়, কক্সবাজার জেলা সদরের কলাতলী এলাকায় একটি জুতার দোকানে শ্রমিক পদে চাকরি করতেন কার্তিক। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় ওই দোকান। এরপর তিনি গত ১২ এপ্রিল লহ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ আঙ্গারপাড়া দাসবাড়িতে ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের কাছে চলে আসেন। এমন অবস্থায় তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরদিন স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করে। গত ১৬ এপ্রিল তার ফলাফল পজেটিভ আসলে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন করে দেয়।
কার্তিক দাস জানায়, এরপর বাড়ি ছাড়ার জন্য তাকে চাপ দেয় বাড়ির মালিক। অন্যথায় তাকে ঘরের বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এতে সে নিরূপায় হয়ে শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি চালের ট্রাক যোগে কুমিল্লার লাকসামে চলে আসেন। পরে সে লাকসাম রেললাইন হয়ে হেটে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।
আপনার মতামত লিখুন :