স্বকৃত নোমান : শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়ে আপনারা ভেবেছেন দেশ থেকে দেশদ্রোহীদের খতম করা গেলো। না এটা ভুল ভাবনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাদের দেখা গেছে তারা প্রত্যেকেই দেশদ্রোহী। মননে তারা মধ্যযুগের আরবের অধিবাসী। তারা মনে করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই দেশে জন্ম হয়েছে তাদের। সে কারণেই রাষ্ট্রের আইন-কানুনকে তারা বুড়ো আঙুল দেখায়। আজ পাকিস্তান বাংলাদেশ অ্যাটাক করুক, দেখবেন এই মৌলবিরা দলে দলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে ওইদিকে ভিড়বে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালেও তাদের এতো বাড়বাড়ন্ত ছিলো না।
গত তিরিশ বছরে তারা একটু একটু করে দেশের প্রান্ত দখল করেছে। তাদের পরবর্তী টার্গেট কেন্দ্র দখল করা। কিন্তু আসলেই কি তারা এতোই শক্তিশালী? আপাত চোখে তা মনে হলেও মোটেও তা নয়। জায়গামতো ডা-ার বাড়ি পড়লে তারা ঠিকই ঠা-া হয়ে যাবে। কারণ তাদের শক্ত কোনো ভিত নেই। তারা উন্মূল, তারা পরগাছা। বিদেশি টাকায় তারা ফেঁপে-ফুলে কালাগাছ হয়ে আছে। করোনার প্রাক্কালে তারা করোনাকে আল্লাহর সৈনিক, কাফেরদের গজব ইত্যাদি বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিলো। সরকার যখন কঠোর হলো তখন তারা সুর পাল্টে ফেললো। তাদের পল্টি খাওয়ার বিস্তর ভিডিও ইউটিইউবে আছে। সরকার তাদের আস্কারা দিতে দিতে মাথায় তুলে ফেলেছে। যদি ঠিকমতো ডা-ার বাড়ি দিতো, ঠিক তারা লেজ গুটিয়ে গর্তে ঢুকে যেতো। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এই ধর্মান্ধ ওয়াহাবি মৌলবি গোষ্ঠী আর লাগামহীন দুর্নীতি। এ দুটির লাগাম টেনে ধরা গেলে দেশটা বহুদূর এগিয়ে যেতো। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা যা ঘটালো, তা রীতিমতো রাষ্ট্রবিরোধী, মানবতা বিরোধী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারফিউ জারি করা হোক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :