ফাহমিদা হক : অসম্ভব কিউট এক জাতিÑ দুনিয়ার করোনার দাপট তাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বিশ্ব যখন নিজেদের সেইফ রাখতে সব আকাশ পথের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এই দেশের মন্ত্রী তখন গর্বে তাকধুম তাকধুম করতে করতে নিজেদের বিশ্বসেরা, সুরক্ষিত বিমানবন্দরের অধিকারী বলে মাটিতে পা রাখার কথা ভুলে গিয়ে খুশিতে তালিয়া বাজায়। যেমন পাগলের সুখ সবখানে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা না বলি, বিনোদন প্রিয় দেশবাসী তাকে জন্মের মতো চিনতে পেরেছে । সব লাভ লোভের হিসাব ভুলে বিশ্বাবাসী যখন জীবন বাঁচাতে ঘরে থাকার কথা বলে, এ দেশের মাথাওয়ালা লোভীরা তখন অসহায় পোশাক শ্রমিকদের ঘর থেকে বাইর করে আনে রাস্তায়। বিশ্বময় যখন এই সময়ে ডাক্তারদের হাততালিতে সাহস দেয়, প্রেরণা যোগায় এ দেশে তখন ডাক্তারদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে। সারাবিশ্বের সঙ্গে আমাদের পুলিশ ভাইদের তুলনা করতে চাই না, এ দেশে সবচেয়ে বকা খাওয়ার অধিকার কেবল পুলিশের। যারা একরুমে কাতারে কাতারে ঘুমায়। আলাদা থাকা বলতে পরিবারের বাইরে থাকা বোঝে। করোনারকালে এই পুলিশ এখনো মরেনি। দলে দলে আক্রান্ত বা মরা শুরু করার আগে আমরা জানতেই পারবো না তাদের আলাদা থাকার কোনো রকম ব্যবস্থাই এ দেশে নেই। সবচেয়ে মানবেতর জীবনই তাদের যেন জন্মের অধিকার।
সারা দুনিয়া যখন মরা মানুষকে সাবধানে সমাহিত করছে, বেঁচে থাকাদের সুরক্ষা দিতে হন্যে হয়ে নানাভাবে জীবিতদের ঘরে রাখার বাঁচিয়ে রাখার উপায় বলে যাচ্ছে, এ দেশে তখন জানাজার নামে বাইরে বেরিয়ে কিলবিল করছে। তারা না নিজেরটা বোঝে, না অন্যেরটা। তারা কেবলই অন্ধ, বোধহীন জৈব যন্ত্র। তারা ধুতুরা গাছ গায়ে মেখে বলবে কুলকায় কেন? কচুক্ষেত চাষ করে বলবে মিষ্টি আম পাই না কেন? তাদের আল্লাহ ছাড়া কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না। আমি প্রতিদিন বলি আর করোনার কোনো খবর দেখবো না, কিন্তু আমি তো এই জাতির অংশ কিনা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :