নিশাত বিজয় : সবাই দেখি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে কটূক্তি করে, বলদ বলে নিজেরা খুব সচেতন দাবি করছে। তাদের এলাকা নাকি মৌলবাদী চিন্তা থেকে মুক্ত। অথচ পুরো রাষ্ট্রই যে ধীরে ধীরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে যাচ্ছে সেটাতে তাদের নজর নেই, তখন আপনাদের চোখ অন্ধ। উদাহরণস্বরূপ আমার নিজের জেলা যশোরের কথা বলি। টাউন হল ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখছিলাম পাশেই যশোর ঈদগাহ মাঠে একাত্তরের রাজাকারদের সহায়তাকারী মোল্লা শফি ওয়াজ করছে সুলতানা কামাল হচ্ছে বেশ্যা। নিজের কানে শোনা, কোনো প্রতিবাদ নেই, প্রতিরোধ হয়নি। এই সুলতানা কামালই বাংলাদেশের সশস্ত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা, এই দেশকে স্বাধীন করেছে।
অথচ তাকে জনসমাগমে এই দেশে গালি দিচ্ছে যারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো। কী অদ্ভুত বৈপরীত্যে। ওইখানে কোনো ৫৭ ধারা নেই, শাপলা চত্বর নেই। সুলতানা কামাল হাটহাজারীর রেলের কয়েকশ একর জমিও নেয়নি রাষ্ট্রের কাছে, অথচ তাকে গালি শুনতে হচ্ছে। তার অপরাধ সে এই দেশকে স্বাধীন করেছে। এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বা যশোর বলে নয়, পুরো বাংলাদেশের চরিত্রই এ রকম। কোনো সংকট দেখা দিলে সেই সংকট স্বীকার করা প্রথম কর্তব্য যদি সংকট সমাধানের ইচ্ছা থাকে। সংকট স্বীকার না করার অর্থ হলো আপনি আসলে সংকটের সমাধানই চান না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :