সুজন কৈরী : [২] সুযোগ পাচ্ছে না শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত বন্দিরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের স্বাক্ষাৎ প্রায় বন্ধ। কারা বন্দিরা স্বজনরা ফোনে কথা বলছেন। একজন বন্দি প্রতি সপ্তাহে একবার সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট করে কথা বলছেন।
[৪] কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কথা বলার জন্য একজন বন্দিকে প্রতি মিনিট ১ টাকা করে দিতে হবে। সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট কথা বলছেন। সপ্তাহে একবার করে বাবা-মা ও ভাই-বোনসহ একেবারেই নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও চাঁদাবাজসহ চাঞ্চল্যকর মামলায় কারাবন্দিরা এ সুযোগ পাচ্ছে না।
[৫] ফোন কথা বলার জন্য দেশের ৬৮ কারাগারেই বন্দির সংখ্যা বিবেচনা করে বুথের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুথে সিম সাপোর্টেড ল্যান্ডফোন রয়েছে। সিটে দিয়েই বন্দিরা কথা বলছেন। প্রতিটি বুথে কারারক্ষী নিয়োজিত থাকে। ফোনে কোনো বন্দি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কথা কথা বলেন, তাহলে দায়িত্বরত কারারক্ষী ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিবেন। সংশ্লিষ্ট বন্দির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৬] কারা বিভাগের ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, গত মাসের ২১ বা ২২ তারিখে আমাদের এখানে প্রথম এমন ব্যবস্থা চালু হয়। আমার নিয়ন্ত্রণে থাকা কারাগারগুলোর মধ্যে বড় ময়মনসিংহ কারাগারে ৭টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
[৭] কেরাণীগঞ্জ অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কারাগারে ১৫টি ফোন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বন্দিরা প্রতি সপ্তাহে একবার ৫ মিনিট করে কথা বলছেন।
আপনার মতামত লিখুন :