সমীরণ রায়: [৩] বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির এক বিবৃতিতে চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, করোনার অভিশাপে বিপন্ন মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণার মুখেও নকল মাস্ক সরবরাহের দুর্নীতি ও জালিয়াতির সঙ্গে যারা জড়িত তারা অমানুষ ও পশু।
[৪] তিনি আরো বলেন, শুধু চিকিৎসকই নন, করোনা রোগীর সেবায় নিয়োজিত নার্সদেরও যেখানে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই, সেখানে যারা নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে অনেককে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে ফেলেছে তারা সভ্য সমাজের বাসিন্দা হতে পারে না। কতটা বর্বর, অমানবিক ও লোভী হলে এই সময়েও এরা এমন দুর্নীতি করতে পারে সেটা প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে ভাবতে হবে।
[৫] তিনি বলেন, এন-৯৫ মাস্ক তো বিদেশ থেকে এসেছিল। এটা আমেরিকান মানের। চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানসহ ৩০ দেশে এটি পাওয়া যায়। দুর্নীতিবাজরা মনে করেছিল চিকিৎসকরা এই মাস্ক চিনতে পারবে না। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সব হাতের মুঠোয় এটা দুর্নীতিবাজদের বোধগম্য হয়নি। এতদিন জার্মান স্টিকারে চাইনিজ মেশিন সরবরাহ করে লুটেছে, তাই লোকাল তৈরি নকল মাস্কের প্যাকেটে এন-৯৫ স্টিকার লাগিয়ে মৃত্যুর দুয়ারে বসে ব্যবসা করতেও এদের দ্বিধা হয়নি। স্বাস্থ্য খাতে অবাধ লুটপাটেও তাদের রাক্ষুসে ক্ষিধে মেটেনি। ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাসের মুখে যখন সরকারপ্রধান
[৬] সবাইকে মানবিক শক্তিতে জাগিয়ে তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত, গোটা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও যেখানে কঠিন দুঃসময়ের মুখে ঐক্যবদ্ধ, তখন দানবদের এই বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা ক্ষমার অযোগ্য।
[৬] রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :