সুজিৎ নন্দী: [৩] করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ১২০ লাখ থেকে ১৫০ লাখ লিটার দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। এতে দেশের খামারিদের প্রতিদিন প্রায় ৫৭ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। আগামী এক মাস এ অবস্থা চলতে থাকলে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
[৪] কয়েক দিন ধরে প্রান্তিক পর্যায়ের কোথাও কোথাও খামারিরা প্রতি লিটার দুধ ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। অনেকে দুধ বিক্রিও করতে পারছেন না। তবে বর্তমান পরিস্থিতে বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় খামারিরা দুধ থেকে ক্রিম ও ঘি তৈরি করে রাখছেন। কয়েকটি জেলায় এরই মধ্যে কিছু মেশিন পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
[৫] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। অনেক ধরণের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। দুধ, ডিম ও মাছের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দুধ সংরক্ষণ করা যেহেতু সম্ভব না, এজন্য ঘি তৈরি করে সংরক্ষণ করুন।
[৬] খামারিরা জানান, ১ কেজি ক্রিম ২৫০ টাকা। ক্রিম থেকে ঘি করা হলে দাম এক হাজার টাকার বেশি হয়। ঘি ফ্রিজে না রেখেও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা যায়। দুধ নিয়ে সেখান থেকে ক্রিম করে আনতে প্রচুর সময় লাগবে। সনাতন পদ্ধতিতে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে দুধ থেকে ক্রিম তৈরি করা যায় না। এখন গরম পড়ায় দুধ দ‚রের পথে আনা-নেওয়া করা হলে নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তাই ক্রিম তৈরির মেশিন প্রয়োজন।
[৭] বিডিএফএর সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ দুগ্ধ খামারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের জীবিকা। দেশের দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতের তিনটি বড় কোম্পানির প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে গুঁড়া দুধ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। একই সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২টি কোম্পানির ঘি, মাখন, ফ্লেভারড মিল্ক, আইসক্রিম, ক্রিম তৈরি করতে পারে। করোনাভাইরাস সমস্যায় আক্রান্ত পরবর্তী সময় এবং আসন্ন রমজান মাসে দেশে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের সংকট দেখা দিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :