ডেস্ক রিপোর্ট : চেয়ারম্যানকে চাল চুরির মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর পরিবর্তে নিজেই ফেঁসে গেছেন সানোয়ার হোসেন খান নামে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা। এ জন্য জরিমানাও গুণতে হয়েছে তাকে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা।
ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় ওই ছাত্রলীগ নেতার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা এ জরিমানা করেন।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত সানোয়ার হোসেন খান উপজেলার কালমেঘা গ্রামের নায়েব খানের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। আর ওই চেয়ারম্যানের নাম-গোলাম কিবরিয়া সেলিম। তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, করোনাকালে কর্মহীন দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিতে সরকারের পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম ১৪৫টি প্যাকেট পান। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল ও দুই কেজি আলু রয়েছে। ওই প্যাকেট গত দুদিনে দরিদ্র মানুষের মাঝে পরিচয়পত্র দাখিলের বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ কেজি চালের পরিবর্তে আট কেজি ও দুই কেজি আলুর পরিবর্তে দেড় কেজি আলু বিতরণের লিখিত অভিযোগ আনেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন ।
কিন্তু ইউএনও সরেজমিন তদন্ত করে ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি। পরে সানোয়ারও তার দায় স্বীকার করেন। এ সময় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সরকার ও জনপ্রতিনিধির ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাঁয়তারার অপরাধে ওই নেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
জানতে চাইলে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, ‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :