মহসীন কবির : [২] স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো আবাসন সুবিধা পাননি করোনা রোগীদের সেবা দেয়া বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী। যারা পেয়েছেন তাদের থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগই করেনি। সময় টিভি
[৩] স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় গত ১১ এপ্রিল রাজধানীর মোট ২০টি অভিজাত আবাসিক হোটেলের প্রায় ৬শ রুমের তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যেখানে থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে যাওয়া আসা করার কথা। তবে পরিচয় গোপন রেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, উত্তরা ও মিরপুরে মাত্র তিনটি হোটেলে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর থাকার ব্যবস্থা হলেও বাকিরা বাসা থেকেই যাওয়া আসা করছেন।
[৪] শেক রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো তেমন কোনো হোটেল পাইনি। কবে পাবো তাও বলতে পারবো না।'ভুক্তভোগী এক নার্সিং স্টাফ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রত্যেকটা জায়গায় যেসব নার্স আছে, যারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের টোটালি আলাদা কোনো জায়গায় রাখা হচ্ছে না। তারা পরিবারের কাছে যাচ্ছে, বাজার ঘাটে যাতায়াত করছে। আমাদের জীবনেরও একটা মায়া আছে। যার কারণে আমরা চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।’ আর যারা হোটেল পেয়েছেন তারা বলছেন, করোনা পজেটিভ পেলে তাদেরকে হোটেল থাকতে দেয়া হচ্ছে না।
[৫] ভুক্তভোগী এক চিকিৎসক মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকালে অ্যাম্বুলেন্স আসবে, তুমি বাসায় অথবা হসপিটালের তিন তলায় চলে যেও। এখন আমার বাসায় ছোট ছোট তিনটা বাচ্চা আছে, আমরা স্ত্রী আছে। এখন এটা আমরা জন্য একটা অমানবিক আচরণ হয়।’
[৬] ভুক্তভোগী আরও এক নার্স বলেন, ‘আমরা যদি এখন একরুমে তিনজন না থাকি। তাহলে বাসায় চলে যেতে হবে। আমরা সবাই এ পজেটিভ রোগী নিয়ে কাজ করি বিধায় বাসায় যাওয়াও তো আমার পরিবারের জন্য নিরাপদ নয়।’
আপনার মতামত লিখুন :