মাসুদ আলম : [২] তাদের মধ্যে আট জন চিকিৎসক। বাকি ৮ জন করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী ও স্বাস্থ্যকর্মী। জেলার একটি উপজেলায় প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নতুন ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন পরুষ ও ৪ জন নারী। এ পর্যন্ত জেলায় ১৯ চিকিৎসক, পুলিশ সদস্যসহ ৭৬ জন শনাক্ত হলেন।
[৩] কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানান, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাগুলোর চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর, ইটনা, কটিয়াদী, তাড়াইল ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনা হানা দিয়েছে। ১৬ এপ্রিল জেলা থেকে ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ২৪ জনের পজেটিভ এসেছে। ৭৬ জনের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৫ জন, ইটনা উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুরে ২ জন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৩ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১১ জন, কুলিয়ারচরে ৭ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, মিঠামইনে ৩ জন, অষ্টগ্রামে একজন. হোসেনপুরে ২ জন ও নিকলীতে একজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে দু’জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দু’জন, ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে একজনের চিকিৎসা হচ্ছে। বাকিরা নিজ নিজ বাসাবাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :