মাহমুদ আমিন, ফেসবুক থেকে : আমরা যারা বেসরকারি চাকরিজীবী, তারা করোনার চেয়ে ভয়াবহ আতংকে দিন কাটাচ্ছি। কারন ইতিমধ্যেই আমরা শুনতে পাচ্ছি তারা (কতিপয় অসাধু মালিক) গনহারে কর্মী ছাটাই শুরু করবে। কিন্তু এখানে আমাদের মত সাধারণ কর্মীদের কি দোষ? এটা স্বীকৃত বৈশ্বিক দুর্যোগ, যার উপর কার কোন হাত ছিল না। কিন্তু কেন আমাদের, বিশেষ করে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির কর্মীদের নির্ঘুম কাটাতে হবে? আমাদের সকল অবদানকে বিভিন্ন ছলছুতায় অস্বীকার করে কুকুর বিড়ালের মত তাড়ানোর আয়োজন করতেছেন? আমাদের মত সাধারণ কর্মীদের ঘামে অনেক প্রতিষ্ঠান দাড়িয়েছে, অনেক নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ মানের বিদেশীদের উচ্চবেতনে এনে আমাদের চাকুরীর ভবিষ্যৎ কে সংকুচিত করেছেন।
আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে সরকারের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি আছেন। তাদের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, আমাদেরকে যেন অযৌক্তিক কারনে গনহারে চাকুরীচ্যুত না করা হয়। আর যদি গনছাটাই শুরু করে তবে আমাদের বাচার তাগিদে এই প্রথম মরিয়া হয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। সেই আন্দোলন হবে অমানবিক মালিকদের বিপক্ষে। আর তা হবে তাদের জন্য সুইসাইডাল। আমরা সবাই বসে আমাদের বেচে থাকার সর্বাত্মক কর্মসূচি দিব ইনশাআল্লাহ।
আশা করি, বংগবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সম্ভাব্য গন চাকুরীচ্যুতি রুখে দিবেন। এই ফাকে অনেক শিল্পপতির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা প্রমানিত ও দক্ষ কর্মীদের ইতিমধ্যেই মূল্যায়ন করেছেন।
পরিশেষে, আবার জানাচ্ছি যে আমাদের কাজের বিনিময়ে বাচতে দিন। নাহয় তীব্র প্রতিবাদের মুখে এই তথাকথিত শিল্পপতিদের মুখোশ উন্মোচন কর্মসূচি চলতে থাকবে। আমি আমার সকল সাংবাদিক ভাই, আইনজীবী ভাই ও বন্ধুদের সাহায্য কামনা করে রাখলাম।
আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। আমরা রাজনীতি কি জানি না, আমরা চাই শুধু প্রিয় পরিবার নিয়ে বাচতে। এটি নিশ্চয়ই অন্যায় নয়?
বিঃদ্রঃ : এটি আমার ব্যাক্তিগত পোস্ট নয় বরং এটি অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সিনিয়র হিসেবে মাহমুদ আমিন দিয়েছে। এর সাথে তার কর্মরত কোম্পানির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব