নওগাঁ প্রতিনিধি: [২] জেলায় প্রতিপক্ষের ছোড়া লোহার কোঁচের (টেটা) আঘাতে আহত মজিবুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
[৩] মজিবুর রহমান উপজেলার উত্তর করমুডাংগা লালমাটিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় রাতেই নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম থানায় অভিযোগ করলে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
[৪] আটককৃতরা হলেন, করমুডাঙ্গা লালমাঠিয়া পাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), মেহের আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৩৮) ও রামাশ্রম শিমুলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জব্বার আলীর ছেলে এরফান আলী (৫৩)।
[৪] জানা গেছে, নিহত মজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে তার প্রতিবেশি আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন ভোরে ইটের প্রাচীর দিয়ে তার বাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার সকালে এ দৃশ্য দেখে তাদের বাঁধা নিষেধ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা মজিবুর ও তার স্ত্রীকে মারপিট করতে থাকে।
[৫] এক পর্যায় প্রতিপক্ষের ছোড়া লোহার কোঁচের (টেটা) মজিবুরের মাথায় আঘাত করে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে মজিবুরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রামেকে স্থানান্তর করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মারা যান মজিবুর রহমান।
[৬] সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :