সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ঝিমেতালে চলছে মশা নিধন কার্যক্রম। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টি হবে। এর পরপরই ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। করোনা ভাইরাসকে ঘিরে আতঙ্কের কারণে ডেঙ্গু নিধন অভিযান দুই সিটি থেকে বিশেষ কোন অভিযান নেই।
[৩] ডেঙ্গু নিধনে কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তিনটি কমিটি থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে নেই। কীটনাশকের চাহিদা প্রণয়ন ও নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা থাকলে বাস্তবে নেই। সরেজমিন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
[৪] এদিকে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম একশ’ দিনে প্রায় চারগুণ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৯৮ জন। গত বছর এ সময়ে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। তবে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমরা চিরুনি অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছি। এর প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
[৫] বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ. বি. এম. আবদুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গুর নিধনের ব্যাপারে দুই সিটির যে কর্মকান্ড থাকা উচিৎ সেটা কিন্তু নেই। দুই সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রথমও উচিৎ ডেঙ্গু নিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা।
৬] ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, করোনা ভাইরাস অবশ্যই ডেঙ্গু অভিযান ব্যাহত করবে। নাগরিকদের সহযোগিতাই পারে নগরবাসীকে এডিস মশা থেকে মুক্তি দিতে।
৭] আসন্ন ডেঙ্গু মৌসুমে স্বাস্থ্য অধিদফতর ডিএনসিসি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে তেজগাঁও, তুরাগ, পল্লবী, মগবাজার, উত্তরা, গুলশান, বনানী, কাফরুল, খিলগাঁও, রামপুরা, মিরপুর, পীরেরবাগ, মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, বনানী, গুলশান, বারিধারা চিন্থিত করেছে।
৮] ডিএসসিসির দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, গেন্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকা, দক্ষিণ মুগদাপাড়া, বাসাবো, মানিকনগর বিশ্বরোড, শেরেবাংলা রোড, হাজারীবাগ, মগবাজার ও রমনা, সেগুনবাগিচা, শাহবাগ, হাজারীবাগ, ফরাশগঞ্জ, শ্যামপুর, উত্তর যাত্রাবাড়ীতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র বেশি।
৯] ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ জানান, মশা নিধনে বিশেষ অভিযান আসছে। ডেঙ্গু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।