মৌরী সিদ্দিকা : [২] পরিচ্ছন্নতা এবং সাবধানতাই পারে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাতে। স্বাস্থ্য সচেতন সকলে এখন লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে দিনে দশবার হাত ধুচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছে, রাসায়নিক মিশ্রিত হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারে জন্ম নিতে পারে ‘ড্রাগ রেজিসটেন্ট জার্ম’।
[৩] বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যে সব লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ বাজারে বিক্রি হচ্ছে তাতে কি কি উপাদান আছে আমরা কেউই দেখি না। তাদের দাবি, বেশিরভাগ বাজার চলতি লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ট্রাইক্লোসান ও ট্রাইক্লোকার্বন নামের দুটি রাসায়নিক উপাদান ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় যা মানুষের শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাদের মতে, এ দুটি রাসায়নিক উপাদান ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু ধ্বংস করে ঠিক কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এই দুই রাসায়নিকের প্রভাবে প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, মস্তিষ্কেও হতে পারে সমস্যা।
[৪] মার্কিন বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সব রাসায়নিক মিশ্রিত হ্যান্ডওয়াশ অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জন্ম নিতে পারে ‘ড্রাগ রেজিসটেন্ট জার্ম’। যেগুলো কোনো ওষুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ বা মেরে ফেলা সম্ভব নয়।
[৫] শতাধিক মার্কিন লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ প্রস্তুতকারী সংস্থার সহস্রাধিক পণ্যে এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দাবি, শুধু লিকুইড হ্যান্ডওয়াশই নয় একাধিক জনপ্রিয় টুথপেস্ট, সাবান, মাউথওয়াশ, ডিটারজেন্টে এ সব ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়।
[৬] এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাত জীবাণু মুক্ত করতে অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি পণ্য ব্যবহার করা উচিত।
[৭] যে কোন শিশুদের ব্যবহারের সাবানের (বেবি সোপ) সঙ্গে জল মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে এর সঙ্গে খানিকটা গ্লিসারিন আর ডক্টর্স স্পিরিট মিশিয়ে বাসায় লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ তৈরি করা সম্ভব। সূত্র : জি ২৪ ঘণ্টা
আপনার মতামত লিখুন :