শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রোগীরা তথ্য গোপন করায় স্বাস্থ্যসেবীদের করোনার ঝুঁকি বাড়ছে

মাহমুদুল আলম : [২] কোথাও রোগীরা তথ্য গোপন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলছেন ডাক্তার - নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবীদের। আবার কোথাও বাসায় ঢুকতে বা বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করছেন বাড়ির মালিক। সামাজিকভাবেও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবী নিজে বা তার পরিবার।

[৩] এমন অবস্থায় বাড়িওয়ালাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবীদের জন্য থাকার ভিন্ন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে সেখানকার খাবারের মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

[৪] ডিবিসি নিউজের কাছে এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যে হোটেলে তারা থাকতেন সেখানে আমি নির্দেশ দিয়েছিলাম ফাইভ স্টার মাণের যেন খাবার দেয়া হয়।

[৫] একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যারা বাইরে থেকে খাবার সরবরাহ করতে চায় এখানে। আসলে তারা বাজার সৃষ্টি করেছে, ভয়ও দেখিয়েছে সেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে। যখনই কানে এসেছে ব্যবস্থা নিয়েছি, এখন এই অবস্থার সুরাহা হয়েছে। রোগীদের পথ্যে জন্য প্রতিদিন সরকারি সরবনাহ ছিলো ১২৫ টাকা। সেই বরাদ্দ এখন ৩০০ টাকা করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের খাওয়ার জন্য জনপ্রতি ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।'

[৬] এদিকে হাসপাতালগুলোতে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করাতে আসা অনেকেই ভুল ঠিকানা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। তাই এ কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

[৭] শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন বিভাগ) ডা. মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, 'যখন স্যাম্পল দেয় আমরা শুধু মোবাইল নাম্বার রাখি। পরবর্তীতে রেজাল্ট পজিটিভ আসলে আমরা তাদের ফোন করি। অনেকের ফোনই নট ইউজড আসছে। অনেকেরই ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভুল নাম্বার দেয়া। কোভিড-১৯ যারা টেস্ট করতে আসবেন ন্যাশনাল আইডি কার্ডের একটা ফটোকপি বাধ্যতামূলক করা উচিত।'

[৮] হাসপাতালে তথ্য গোপন করে করোনা আক্রান্তরা চিকিৎসা নেয়ার কারণেই ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

[৯] অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, 'তারা বুঝতে পারছেন না, তথ্য গোপন করছে। এর ফলে, তারা যে ডাক্তারের কাছে সেবা নিতে যাচ্ছেন তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাহলে তথ্য গোপন করলে তারই তো ক্ষতি হচ্ছে।'

[১০] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, রোগীদের সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়েও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়