সাইদ রিপন : [২] দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে চালের মজুদ যথেষ্ট রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের সবচেয়ে বড় চাল উৎপাদন হয় বোরো মৌসমে। সেজন্য বোরোধান ঠিকমতো ঘরে তুলতে কোন কৃষক যেন আর্থিক সংকটে না পরে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি বিশ^ব্যাংকের ঢাকা অফিসের পরামর্শক ও অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকের হাতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার তুলে দেওয়াকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। বোরোধানের যারা চাষি তাদের প্রয়োজন মতো ইমিডিয়েট অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে হবে।
[৪] পত্রিকায় দেখেছি, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও শ্রমিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক শ্রমিক যেতে চাচ্ছে না। যেতে চাইলেও তাদের কিভাবে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তাই সেখানে কৃষককে যন্ত্রপাতি দিয়েই কাটতে হবে। সেই যন্ত্রপাতি ভাড়া করা অথবা কেনার জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে। তাই ইমিডিয়েট অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ব্যবস্থা করতে হবে। হাওর অঞ্চলের ধান কাটতে না পারলে এগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
[৫] ড. জাহিদ আরও বলেন, এজন্য কৃষি ঋণ পিকেএসএফ এর মাধ্যমে দিতে হবে। আবার কৃষি ব্যাংক বা পিকেএসএফ এর মাধ্যমে টাকা বন্টন করলে খেলাপিসহ আরও অন্যান্য ঝুঁকি থাকে। তাই সব ঝুঁকি বিবেচনা করে সরকারি অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি দিয়ে এ প্রণোদনার টাকা বন্টন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :