সাইদ রিপন : [২] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হিসেব অনুযায়ি করোনভাইরাসের প্রভাবেও গত মাসে মূল্যস্ফীতির উপর সেভাবে প্রভাব পড়েনি। গত মার্চে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে। বেড়েছে খাদ্যবহির্ভ‚ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি।
[৩] এ বিষয়ে বিবিএসের ন্যাশনাল একাউন্টিং উইং এর পরিচালক (মূল্য ও মজুরী) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, আমরা ১২ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে দেশের প্রায় ১৪০টি স্পট থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। তাই মার্চের ১৮ তারিখ পর্যন্ত বাজারের পরিস্থিতি উঠে এসেছে।
[৪] বিবিএসের তথ্য মতে, মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা ফেব্রæয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা ফেব্রæয়ারি মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভ‚ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
[৫] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চ মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভ‚ত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
[৬] গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভ‚ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :