মো. আখতারুজ্জামান : [২] তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে জানায়, পরিবহনের অভাবে শ্রমিকদের ফিরতে যেন অসুবিধে না হয় তাই আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য এটা করা হয়েছিল।
[৩] ১৫ এপ্রিল বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বিশেষ বাস বরাদ্দের অনুরোধ করা হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কাছে।
[৪] চিঠির ব্যাখ্যায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, চিঠিটি ১৫ এপ্রিল বিজিএমএ‘র পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল যাতে আমরা সময় মতো ভালভাবে প্রস্তুত থাকি। কিন্তু ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় পুরো দেশকে মহামারির ঝুঁকি বলে ঘোষণা করেছিল। সেই দিনেই চিঠিটি বাতিল করার পদক্ষে নেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী অবহিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনে জানানো হয়েছে। যদি সার্বিকভাবে মহামারি করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়, সে সময়ে কর্মীদের জন্য নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য বিজিএমএ প্রয়োজনীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে আবার আলোচনা করবে।
[৫] সেই চিঠিতে বলা হয়, ইতিমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা চালুর সম্মতি রয়েছে। সেই লক্ষ্যে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে রপ্তানি কার্যাদেশ থাকা কারখানাগুলো চালু করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
[৬] চিঠিতে আরও বলা হয়, কারখানাগুলো মার্চ মাসের বেতন ভাতা পরিশোধ করেছে। অধিকাংশ শ্রমিক ঢাকা বাইরে অবস্থান করার কারণে বেতন ভাতা সংগ্রহ করতে পারছে না। কারখানা পরিচালনা এবং বেতন ভাতা প্রদানের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ এপ্রিলের পর শ্রমিক ভাই বোনদের গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকায় আনার লক্ষ্যে আপনার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।
আপনার মতামত লিখুন :