ডেস্ক রিপোর্ট : [২] যা কিনা মোট আক্রান্তের ২১ শতাংশ। আর মোট আক্রান্তের ১৯ ভাগ ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী। এরপর রয়েছেন ৪১ থেকে ৫০ বছরের মানুষ। শতকরা হিসাবে যা ১৫ শতাংশ।
[৩] গতকাল কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
[৪] ডা. সেব্রিনা বলেন, রোগীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। আবার নারী-পুরুষ সংক্রমণের হার বিভাজনে দেখা গেছে, শতকরা ৬৮ শতাংশ পুরুষ আর ৬২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন।
[৫] তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৪৬ ভাগ রোগী ঢাকা শহরে। এরমধ্যে মিরপুরে সবচেয়ে বেশি। এরপর নারায়ণগঞ্জে শতকরা ২০ ভাগ। নতুন করে অনেক এলাকায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। টোলারবাগে সংক্রমণ বেশি ছিল, এখন মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল এবং টোলারবাগ এলাকাজুড়েই বিস্তৃত। এটা শতকরা হিসাবে যদি বলি, শতকরা ১১ ভাগ। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে শতকরা চার ভাগের মতো সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারপর রয়েছে উত্তরা ও ধানমন্ডিতে শতকরা তিন ভাগ।
[৬] ডা. সেব্রিনা আরও বলেন, সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩২ ভাগের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। তবে এই ৩২ ভাগের অনেকের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তাদের বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে যেতে হয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, সামাজিকভাবে তাদের ওপর চাপ ছিল। তারা যেন বাড়িতে না থেকে হাসপাতালে যান। একজন রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও উৎসাহিত করেছে। তবে সেক্ষেত্রে রোগী হোম আইসোলেশনে থাকবেন স্ট্রিক্টলি। একটি ঘরের ভেতরে থাকবেন এবং তার সঙ্গে যেন অন্য কারও মেলামেশা না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
[৭] এটা করা গেলে রোগীর জন্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যও এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। যাদের মৃদু লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে কিংবা খুবই কম, তাদের হাসপাতালে পাঠালে হাসপাতালের ওপর চাপ পড়ে। তাই যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, তারা স্বাস্থ্য অধিদপপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে কল করলেই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাবেন। পদ্মাটাইমস২৪। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :