ডা. আবীর শাকরান মাহমুদ : ১৬ এপ্রিল প্রায় পুরো রাত কেটে গেলো সৌদি আরব থেকে আসা স্পেশাল ফ্লাইট ডিল করতে। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের স্পেশাল ফ্লাইট আটকে পড়া প্রায় ৩০৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে ল্যান্ড করে ১৬ এপ্রিল। এতে সৌদি আরবের শখানেক ওমরাহ যাত্রী এবং ডিপোর্টেশন সেন্টারে থাকা দুইশজন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে প্লেন থেকে নামিয়ে রানওয়ে থেকেই আমরা থার্মাল স্ক্যানিং করে প্রাইমারি স্ক্রিনিং শেষে বিশেষ পদ্ধতিতে সেপারেট করে আশকোনা হজক্যাম্পে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়েরেন্টাইনের জন্য নিয়ে যাই। আমাদেরও খুব ইচ্ছা হয় লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে বাসায় সেইফলি রাত কাটিয়ে রাজা-উজির মেরে অন্যের দিকে আঙুল তাক করে দোষারোপ করতে। কিন্তু চাইলেও আমরা পারি না। আমাদের রাত কাটে সাসপেক্টেড করোনা প্যাশেন্টদের সান্নিধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এ সময় ঘরে থাকতে পারাটাই যে কী ধরনের প্রিভিলেজ তা আপনারা না বুঝলেও আমরা ঠিকই বুঝছি। আমরা বাইরে আছি আপনাদের জন্যই, আপনারা আমাদের জন্য প্লিজ ঘরের ভেতরে থাকুন একটাই অনুরোধ, যা ইচ্ছা তা করেই সময় কাটান, কিন্তু তবুও ঘরে থাকুন। লেখক : সহকারী বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা।