লাইজুল ইসলাম : [২] রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণের স্তর বিন্যাস করে নিয়েছি। এতে চারটি স্তর করা হয়েছে। করোনাও দেশে ক্লাস্টার আকারে ছড়িয়েছে।
[৩] সেব্রিনা বলেন, কোনো স্টেজে আমরা কি করবো সেগুলো আমরা ভাগ করে নিয়েছে। স্টেজ এক এ কোনো ধরনের করোনা রোগি পাওয়া যাবে না। এই স্টেজে কোনো কিছুই হবে না। প্রতিরোধে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
[৪] ডা. ফ্লোরা বলেন, স্টেজ দুই এ কিছু রোগি ধরা পরবে। এগুলো ইমপোর্টেড কেইস। বাইরে থেকে এসে পরিবারে কাউকে আক্রান্ত করবে।
[৫] ডা. সেব্রিনা বলেন, তৃতীয় স্টেজে হচ্ছে লোকাল ট্রান্সমিশন। এই স্টেজে রোগির সংখ্যা বাড়বে। মৃত্যুও হবে। ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়াবে। তবে এই স্টেজে প্রত্যেক এলাকার লোক সেই এলাকায় থাকাই ভালো।
[৬] আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, এরপর আছে ফাইনাল স্টেজ বা চতুর্থ স্টেজ। এই স্টেজে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে পারে। আবার এক পর্যায়ে গিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়বেওনা কমবেও না । ধীরে ধীরে আক্রান্ত কমে যাবে। মৃত্যুও এক পর্যায়ে কমে যাবে। এটাই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা চতুর্থ স্টেজ।
[৭] এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সহকারি পরিচালক বলেন, চতুর্থ স্টেজে রোগির সংখ্যা কমে গেলেও মৃত্যু হারটা কমবে না বাড়বে সেটা বোঝা যাবে কাকে আক্রান্ত করেছে। যদি বয়স্ক কাউকে আক্রান্ত করে তাহলে তার অবস্থা এক ধরনের হবে। আর কম বয়সি কাউকে আক্রান্ত করলে সেটা আলাদা হবে। তবে বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :