মশিউর অর্ণব : [২] মার্চ মাস জুড়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে করোনাভাইরাসে ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর পর তাদের কেস হিস্ট্রি পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগ।
[৩] প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পর গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৯ জনেরই মৃত্যুর আগপর্যন্ত নানা স্বাস্থ্য-জটিলতা বিদ্যমান ছিল।
[৪] মৃতদের মধ্যে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকার হার ২.৭ শতাংশ, অর্থাৎ তাদের বেশিরভাগই গড়ে দুইয়ের অধিক জটিল রোগে ভুগছিলেন।
[৫] এই স্বাস্থ্য জটিলতাগুলোর মধ্যে রয়েছে- অ্যামনেশিয়া বা স্মৃতিভ্রম, হৃদরোগ ও অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট।
[৬] গবেষকরা বলছেন, বয়সের সাথে সাথে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে থাকে এবং ষাটোর্ধদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি তুলনামূলক কয়েকগুণ বেশি।
[৭] কেবলমাত্র করোনাভাইরাসের কারণেই কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
[৮] অধিকাংশই ক্ষেত্রেই তারা লক্ষ্য করেছেন, মৃতদের অন্যান্য জটিল রোগ থাকলেও করোনাভাইরাসই ছিল মৃত্যুর চূড়ান্ত কারণ।
[৯] যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, অন্যান্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
[১০] এবিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধান নিক স্ট্রাইপ বলেন, হৃদরোগসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতায় যারা মারা যেতেন, তারাই এসময়টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করছেন।
[১১] ব্রিটিশ গবেষকরা জানিয়েছেন, পূর্বের থেকেই যেসব রোগীদের মধ্যে কো-মরবিডিটি (অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগ) রয়েছে, করোনাভাইরাস তাদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং তাদের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করছে। (সূত্রঃ ইউকে অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স, গার্ডিয়ান, সিএনবিসি)
আপনার মতামত লিখুন :