লাইজুল ইসলাম: [২] শুক্রবার অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বলেন, নমুনা সংগ্রহের পর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রোগি ২৬৬ জন। এদের নিয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৩৮ জন।
[৩] মীরজাদি বলেন, বয়স ভিত্তিক বিভাজন করলে সর্বোচ্চ সংক্রমিত হয়েছেন ২১-৩০ বছরের মানুষ, শতকরা ২১ ভাগ। এরপর ৩১-৪০ বছরের শতকরা ১৯ ভাগ ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের শতকরা ১৫ ভাগ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ২১-৩০ বয়সের মানুষ বেশির ভাগ আক্রান্ত।
[৪] ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, পুরুষ ও নারীদের আক্রান্তের হার বের করলে দেখা গেছে ৬৮ ভাগ পুরুষ, ৩২ ভাগ নারী।
[৫] ফ্লোরা বলেন, জায়গার বিশ্লেষণে দেখা গেছে ঢাকায় শতকরা ৪৬, নারায়নগঞ্জ ২০ এরপর গাজীপুর। চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জ এসব এলাকায় রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৬] ডা. সেব্রিনা বলেন, ঢাকার শহরে দেখলে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে সংক্রমন মিরপুর। প্রথমে শুধু টোলারবাগে হলেও করোনা ছড়িয়েছে। মিরপুরে সংক্রমণের হার শতকরা প্রায় ১১ ভাগ, মোহম্মদপুর, ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী ৪ ভাগ করে সংক্রমিত।
[৭] তিনি বলেন, যারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তাদরে শতকরা ৬১ ভাগ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি শতকরা ৩২ ভাগ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ৩২ ভাগের অনেকেরই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু বিবিধ কারণে তারা হাসপাতালে ছিলেন।
[৮] ডা. সেব্রিনা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, চাইলে করোনা আক্রান্ত রোগিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। বাসায় থাকতে চাইলে কোনো সমস্যা নাই। সেক্ষেত্রে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। ঘরের মধ্যেই নিজেকে রাখতে হবে। কারো সঙ্গে কোনো ভাবেই দেখা বা কথা বলা যাবে না।
[৯] আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, এক দিনের মৃদু জ্বরে হাসপাতালে না যেতে বলেন। স্বাস্থ্য বাতায়নে যোগাযোগ করলেই হবে। চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে দিবে। তাছাড়া এসব রোগিদের সঙ্গে সব সময় আইইডিসিআরের চিকিৎসকরা যোগাযোগ রাখে।
আপনার মতামত লিখুন :